কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
চলতি বছরের ৪ জুলাই ভরদুপুরে পুলিস অফিসার পরিচয় দিয়ে শিয়ালদহের ছবিঘর সিনেমা হলের সামনে থেকে নদীয়ার স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাবলু নাথকে টাটা সুমোতে তুলে ৪৫০ গ্রাম সোনার গয়না ডাকাতি করে একদল দুষ্কৃতী। মুচিপাড়া থানায় ওই ব্যবসায়ীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে মুচিপাড়া থানা ও ডাকাতি দমন শাখার গোয়েন্দাদের একটি যৌথ দল। সিসিটিভির সূত্র ধরে গোয়েন্দারা কলকাতা পুলিসের এএসআই আশিস চন্দ্র ও কনস্টেবল উৎপলকুমার কর সহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেন। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর গোয়েন্দারা খোয়া যাওয়া সোনা উদ্ধার করেন।
সাম্প্রতিককালে শহরে কোনও ডাকাতির ঘটনায় কলকাতা পুলিসের দু’জন কর্মী পরপর গ্রেপ্তার হওয়ায় জনমানসে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। লালবাজারের ‘ক্রাইম রেকর্ড সেকশন’-এর অফিসার গ্রেপ্তার হওয়ায় শোরগোল পড়ে পুলিস মহলেও। এমনকী আগস্ট মাসের ক্রাইম মিটিংয়ে পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা নিজে গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ধৃতদের হেফাজতে রেখে বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে কড়া সাজা দিতে হবে। সিপি’র সেই নির্দেশ মাথায় রেখেই চলতি মাসের ক্রাইম মিটিংয়ের ঠিক আগের দিন চার্জশিট পেশ করল লালবাজার।
লালবাজার সূত্রের খবর, প্রায় ২০০ পাতার এই চার্জশিটে দুই পুলিস কর্মী সহ ধৃত সাতজনের বিরুদ্ধে ৩৬৫ (অপহরণ), ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৩৯৫ (ডাকাতি) ১৭০ (ভুয়ো পরিচয় দেওয়া)-এর মতো একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এই চার্জশিটে সাক্ষীর তালিকায় ৫০ জনের নাম রয়েছে।