কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
তবে এই বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলার সত্যেন্দ্রনাথ দে কিছু জানেন না বলেই দাবি করেন। তিনি বলেন, ওরা একটি ফর্ম ছাপিয়ে দিয়েছে। সেই ফর্মে আবেদন করতে হচ্ছে ক্ষতিপূরণের জন্য। তা কাউন্সিলার হিসেবে আমি নিজে খতিয়ে দেখে নিশ্চিত করতে তবেই ক্ষতিপূরণ পাওয়ার তালিকায় নাম উঠছে। তবে কেউ কেউ বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেন, স্যাকরাপাড়া লেন এবং গৌর দে লেনে অনেকদিন না থাকলেও আবেদন করছেন। কোথাও কোথাও একই বাড়ির মধ্যে দু’টো পরিবার আলাদাভাবে থাকত। তারাও আবেদন করছে পৃথকভাবে। তাই এই তালিকা তৈরি যথেষ্ট জটিল এবং সমস্যার বলে স্বীকার করে নিয়েছেন কাউন্সিলার।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১২৩টি পরিবার তালিকাভুক্ত হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। মোট সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও কাউন্সিলার জানিয়েছিলেন আগেই। এখন কেএমআরসিএল-এর এই নতুন নিয়মের পর সংখ্যাটা কত দাঁড়াবে, সেটাই দেখার।
কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে বিপদে পড়া বাসিন্দাদের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, যাদের গাফিলতির জন্য আচমকা আমাদের জীবনে এমন বিপর্যয় নেমে এল, নামমাত্র টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য তাদের এত কড়াকড়ি কেন? চাঁদনি চক এলাকায় বেসরকারি হোটেলে এই মাসের শুরু থেকে রয়েছেন সুপ্রিয় বসাক। তিনি বলেন, আমরা তো কোনও অন্যায় করিনি। তাহলে কিসের মুচলেকা? বউবাজার থেকে এখানে উঠে আসা গৃহবধূ বলেন, আমাদের নাম নথিভুক্ত হয়েছে ঠিকই। তবে আমার দেওর-জায়ের পরিবারও আলাদাভাবে ক্ষতিপূরণ পাবে না কেন? তারা তো আলাদাই থাকত। দুর্গা পিতুরি লেনের বাসিন্দা গৌতম লাহা আবার বলেন, কেউ কেউ যে এই সুযোগ নিচ্ছে না— এমনটা হলফ করে বলা যায় না। অনেকেই ১০ বছর এখানে থাকেন না, এখন এসে ক্ষতিপূরণ চাইছেন। ফলে এমন নিয়ম করলে সঠিক লোকই ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে মনে করেন তিনি।
এদিন বউবাজারের এই চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, দুর্গা পিতুরি লেনে মেরামতের অযোগ্য বাড়িগুলি ভাঙার কাজ চলছে। তিনটি ক্ষতিগ্রস্ত লেন থেকেই কিছু না কিছু জিনিসপত্র এদিনও বের করে নিয়ে গিয়েছেন বাসিন্দারা। যে বাড়ি ভাঙা হচ্ছে, তাদের সদস্যদের রাখা হয়েছে সেখানে। যা যা জিনিসপত্র উদ্ধার করা সম্ভব, সেগুলি সন্তর্পণে বের করেই ভাঙার কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে। ফলে সময় লাগছে যথেষ্ট। বাড়িছাড়া মানুষরা দিনের নানা সময় ভিড় জমিয়েছেন ব্যারিকেডের পারে। তাঁদের মধ্যে যাঁরা কেবল নিরাপত্তার খাতিরে সরে গিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি ফেরার আকুলতা চোখে পড়েছে। নিজস্ব চিত্র