কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
রেল পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম সৌরভ বৈদ্য (২৮) ও রিনা দাস (২৫)। প্রথম জনের বাড়ি শিমুরালির নিউ কৌতুকপুরে। আর দ্বিতীয় জনের বাপের বাড়ি চাকদহের সিলিণ্ডায়। কয়েক বছর আগে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের এক যুবকের বিয়ে হয়েছিল রিনার। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় চা ব্যবসায়ী সৌরভের স্ত্রী ও এক মেয়ে রয়েছে। রিনা বেশিরভাগ সময় বাপের বাড়িতেই থাকতেন। দু’জনের ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ হয়। সেই সম্পর্ক গড়ায় প্রণয়ে। তবে মাস কয়েক আগে এই পরকীয়া সম্পর্কের কথা দু’জনের বাড়িতেই জেনে ফেলে। তা থেকে দুই পরিবারেই চরম অশান্তি হত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসার কাজ আছে বলে সৌরভ কলকাতার উদ্দেশে বৃহস্পতিবার সকাল সকাল বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। রাত পর্যন্ত না ফেরায় তাঁর পরিবার বারবার ফোন করেন। কিন্তু, ফোনে সাড়া মেলেনি। যদিও রাত দুটো পর্যন্ত তাঁর মোবাইল খোলা ছিল। তারপরেই ফোন সুইচড অফ হয়। শুক্রবার সাতসকালে শিমুরালির রূপপুর রেল গেটের কাছে ডাউন লাইনের ধারে জোড়া ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া রেল পুলিসে। সৌরভের পরিচয়পত্র দেখে স্থানীয়রা তাঁর দেহ শনাক্ত করেন। তবে প্রথমে মহিলার পরিচয় মেলেনি। পরে মহিলার নাম জানতে পারেন স্থানীয়রা। রানাঘাট জিআরপি এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে।
দুই পরিবারে মৃত্যুর খবর পৌঁছাতেই শোকের ছায়া নেমে আসে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে সৌরভ ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে প্রায়শই অশান্তি হত। অশান্তির কারণে প্রায় রাতে বাড়ি ফিরতেন না। উল্টোদিকে, রিনার স্বামীও এই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে অশান্তি করতেন। এই সম্পর্কের টানাপোড়েনে অশান্তির কারণেই যুগলে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে স্থানীয়রা সন্দেহ করনে।
রানাঘাট জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ডাউন ট্রেনের সামনের ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন যুগলে। মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই পুরো ঘটনা পরিষ্কার হবে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে জিআরপি।