ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা এডিএম (এল আর) প্রলয় রায়চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা কখন স্ট্রংরুম তদারকিতে যেতে পারবেন, সেবিষয়ে একটি রোস্টার তাঁদের দেওয়া হয়েছে। ৩০০টিরও বেশি ক্যামেরা রানাঘাট কলেজের ভিতরে ও বাইরে রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্বের স্ট্রংরুম সম্পূর্ণ নিরাপদ।
তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী বলেন, বুধবার রানাঘাট কলেজের বাইরে আমি দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করছিলাম। স্ট্রংরুমের নিরাপত্তার তদারকি করতে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা কখন ভিতরে ঢুকতে পারবেন, তার জন্য রিটার্নিং অফিসারের কাছে সময়সূচির আবেদন করেছিলাম। আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এরপর আমি ফিরে আসি।
তাঁর অভিযোগ, রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি না নিয়েই বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার কলেজের ভিতরে ঢুকেছেন বলে তিনি খবর পান। ঘটনার সময় পাঁচটি সিসিটিভি ক্যামেরা কাজ করছিল না বলেও তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ। তিনি বলেন, আমাকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হল না। অথচ বিজেপি প্রার্থী ঢুকে পড়লেন? সেসময়ই কেন সিসিটিভি ক্যামেরায় বিভ্রাট হল? এনিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এই ধরনের ঘটনা উত্তরপ্রদেশেও দেখা গিয়েছে। রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।
সিসিটিভি বিভ্রাট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারও। তবে তিনি পাল্টা বলেন, স্ট্রংরুমের নিরাপত্তা তদারকি করে আমি বেরিয়ে আসার সময় রাতে কলেজের বাইরে তৃণমূলের কিছু দুষ্কৃতী জড়ো হয়েছিল। ওরা আমায় খারাপ মন্তব্য করে। পরে শুনতে পাই, ভিতরে দু’টি ক্যামেরা কাজ করছিল না। গভীর রাতে মুকুটমণিকে নিরাপত্তারক্ষী সহ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে কলেজের বাইরে থাকা রাজ্য পুলিস।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করে বিজেপি। সেখানে জগন্নাথবাবু বলেন, স্ট্রংরুমের নিরাপত্তার দায়িত্বে যাঁরা থাকবে, তাঁদের রুটিন বদলানো উচিত। এবিষয়ে প্রশাসনকে জানিয়েছি। পুলিস তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। বুধবার রাতে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের স্ট্রংরুম কাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, তৃণমূল ও বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জয়ের অঙ্ক কোনদিকে যাবে, তা নিয়ে দুই দলই চিন্তিত। তাই ভোট-পরবর্তী রাজনীতির হাওয়া গরম করতেই এমনটা করা হয়ে থাকতে পারে। নিজস্ব চিত্র