Bartaman Patrika
 

 যাত্রায় এনেছিলেন নতুন যুগের হাওয়া
সন্দীপন বিশ্বাস

১৯৬৮ সাল। নানা পরিস্থিতিতে তখন অস্থির তাঁর জীবন। নিজের দল এলটিজি থেকে তখন তিনি বিতাড়িত। আগের বছরেই তাঁকে রাজনৈতিক কারণে জেলে যেতে হয়েছিল। চারিদিকের চেনা মানুষগুলি কেমন যেন অচেনা হয়ে উঠেছিল। তাঁর নাটক করার জায়গাটা তখন প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তিনি থেমে থাকার পাত্র নন। তাঁকে চলতেই হবে। তাই তিনি অভিনয়ের অন্য মাধ্যম খুঁজছিলেন। ছবিতে অভিনয় চলছিল। কিন্তু পাশাপাশি তিনি যাত্রার দিকে ঝুঁকলেন। খুব ইচ্ছে ছিল যাত্রার মাধ্যমটিকে নিয়ে কিছুটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা। বারবার বলতেন, ‘প্রকৃত, নিয়মনিষ্ঠ শিল্পী যদি খুঁজতেই হয়, তবে যাত্রায় যেতে হবে।’ ততদিনে দেখে ফেলেছেন ফণীভূষণ বিদ্যাবিনোদ, পঞ্চু সেনের অভিনয়। তাঁদের বলিষ্ঠ অভিনয় দেখে ঠিক করলেন যাত্রার জন্য পালা লিখবেন, নির্দেশনা দেবেন। তিনি উৎপল দত্ত। শুধু চলচ্চিত্র বা বাংলা নাট্যমঞ্চেই তাঁর অবদান ছিল তা নয়। অনেকটা অবদান তাঁর যাত্রাতেও রয়েছে।
যোগাযোগ ঘটে গেল। ১৯৬৮ সালে যাত্রার জন্য প্রথম পালা লিখলেন ‘রাইফেল’। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের পটভূমিকায় লেখা। নতুন নাটক নয়। তাঁর ‘টোটা’ নাটকটিকেই একটু অদল বদল করেছিলেন। নিউ আর্য অপেরায় সেই নাটক একদিন পড়া হল। কিন্তু পালা শুনেই পঞ্চু সেন বলে দিলেন, ‘এই নাটক যাত্রায় চলবে না। খুব কঠিন হয়ে গিয়েছে। গ্রাম বাংলার দর্শক এই নাটক নেবে না।’
পঞ্চু সেনকে খুবই শ্রদ্ধা করতেন উৎপল দত্ত। তিনিও বুঝতে পারলেন, এই নাটক বদল করা দরকার। তিনি বললেন, ‘আমাকে সাতদিন সময় দিন, আমি একটা নতুন নাটক লিখে দেব।’ কিন্তু ততদিনে ‘রাইফেল’ নাটকের বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। নাম আর বদল করা যাবে না। তাই নামটি একই রেখে লেখা হল নতুন নাটক। ১৯৩০ সালের স্বাধীনতার লড়াইয়ের প্রেক্ষাপটে লিখলেন নতুন নাটক। এবার পঞ্চু সেন বললেন, ‘শেষ দৃশ্যটা অন্যরকম করা দরকার। ঠিক জমেনি।’ সেই পরামর্শ মেনে উৎপল আবার তাঁর পালার পরিবর্তন করলেন। সেই নাটকে পঞ্চু সেন করেছিলেন ‘রহমৎ’ চরিত্র। রিহার্সালের সময় উৎপল দত্ত সব শিল্পীকে নানা বিষয় নির্দেশ করলেও পঞ্চু সেনকে কিছুই বলছিলেন না। পঞ্চুবাবু তাঁর নিজের মতো করে রিহার্সাল দিচ্ছিলেন। একদিন পঞ্চুবাবু বললেন, ‘আপনি সবাইকে সবকিছু বলে দিচ্ছেন, আমাকে কিছু বলছেন না তো!’ সে কথা শুনে উৎপল দত্ত বললেন, ‘আমি আপনার অভিনয় দেখে কিছু শিখছি।’ এমনই ছিল তাঁর শ্রদ্ধাবোধ।
১৯৬৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কাশী বিশ্বনাথ মঞ্চে অভিনীত হল ‘রাইফেল’। সারা ফেলে দিল সেই পালা। কিন্তু সেবছরই দলের মালিকের সঙ্গে টাকা পয়সা নিয়ে এমন সব অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেল যে, উৎপল সিদ্ধান্ত নিলেন, যাত্রায় আর নাটক দেবেন না। স্থির হল নিজেরাই যাত্রা দল গড়ে গ্রামগঞ্জে অভিনয় করবেন। তৈরি হল বিবেক যাত্রা সমাজ। দুটি পালা ঠিক হল। একটি ‘রাইফেল’ এবং অন্যটি ‘শোনরে মালিক’। কিন্তু বিবেক যাত্রা সমাজ চালানো গেল না। এর মধ্যেই সত্যম্বর অপেরার শৈলেন মোহান্তি এলেন উৎপল দত্তের কাছে। নতুন নাটক চাই। উৎপল দত্ত রাজি নন। কিন্তু মত বদলাতে হল। লিখলেন ‘জালিয়ানওয়ালাবাগ’। সেই কুখ্যাত হত্যাণ্ডের ঘটনা নিয়ে নাটক। পেলেন একদল ভালো অভিনেতাকে। ভোলা পাল (ছোট), মনোরঞ্জন চক্রবর্তী, শিবদাস মুখোপাধ্যায়, তপনকুমার, মোহন চট্টোপাধ্যায়, জয়শ্রী মুখোপাধ্যায়কে। রিহার্সালে এঁদের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলেন উৎপল।
পরের বছর পালা লিখলেন লোকনাট্যের জন্য। ‘দিল্লি চলো’। অসাধারণ হয়েছিল সেই পালা। সেখানে পেলেন শেখর গঙ্গোপাধ্যায়কে। সেই বছরেই লোকনাট্যে দিলেন আর একটি পালা ‘সমুদ্রশাসন’। সমুদ্রগুপ্তকে নিয়ে লেখা পালা। আরও দুটি পালা সে বছর হয়েছিল, একটি ‘নীলরক্ত’। অভিনীত হয়েছিল ভারতী অপেরায় এবং অন্যটি ‘ভুলি নাই প্রিয়া’। অভিনীত হয়েছিল শ্রীমা অপেরায়।
যাত্রায় আসার আগে পালার আঙ্গিক নিয়ে তিনি জানতে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন। তখন শম্ভু বাগ, ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ পালাকারের প্রকাশিত বেশ কয়েকটি যাত্রার বই পড়ে তিনি পথ খোঁজার চেষ্টা করেছিলেন। জানলেন যাত্রা কী, কেমন তার বৈশিষ্ট্য। কিন্তু তিনি পুরোপুরি সেই পথ অনুসরণ করলেন না। তার সঙ্গে মিশিয়ে দিলেন নিজস্বতা। যাত্রার আঙ্গিকের মধ্যে মিশিয়ে দিলেন নাটকের কম্পোজিশন এবং অভিনয়। বাচিক অভিনয়কেও অনেকটা বদলে দিলেন। শহরকেন্দ্রিক এলাকায় সেই সব পালা তুমুল সাফল্য পেলেও গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে, তা অনেকটাই অধরা থেকে গিয়েছিল। তাই তাঁর সব পালাকে সেই অর্থে হিট বলা যায় না। অর্থাৎ ব্রজেন দের ‘সোনাই দীঘি’, শম্ভু বাগের ‘হিটলার’, ‘লেনিন’ বা ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘একটি পয়সা’, ‘পাগলা গারদ’ বা ‘মা-মাটি-মানুষ’ যে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, উৎপলের নাটক সেখানে পৌঁছতে পারেনি। এমনকী তরুণ অপেরায় শান্তিগোপাল তাঁর লেখা পালা ‘মাও সে তুং’ করেছিলেন, সেও বেশিদিন চলেনি। তার কারণ অবশ্য অন্য ছিল। উৎপল সেই নাটকে চিয়াং কাই শেকের চরিত্রটি দিয়েছিলেন গৌতম সাধুখাঁকে। কিন্তু সেটা মনঃপুত হয়নি শান্তিগোপালের। কেন না গৌতম তখন যাত্রায় নতুন। সুতরাং কয়েক পালার পর বন্ধ হয়ে যায় ‘মাও সে তুং’।
নির্দেশনার ক্ষেত্রে উৎপল দত্ত ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এটা অবশ্য বলাই যায় যে যাত্রায় তিনি এক ধরনের আধুনিকতার জন্ম দিয়েছিলেন। অবশ্য বিচার করলে বলতেই হয়, তিনি সময়ের চেয়ে একটু বেশি এগিয়ে ছিলেন। নাটকে যেমন একসময় নবনাট্য এসেছিল, চলচ্চিত্রে যেমন একটা নতুন ধারার ছবি তৈরির হাওয়া এসেছিল, উৎপল দত্তও যাত্রায় সেই নতুন যুগের হাওয়া আনার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তা স্থায়ী হয়নি। কেন না তাঁর মতো করে যাত্রাসৃষ্টি করার প্রতিভা পরবর্তীকালে পাওয়া যায়নি। তাই শুধু বাণিজ্যের নিরিখে তাঁর পালাকে মাপলে অনেকক্ষেত্রে ভুল হতে পারে।
অনেকে বলেন যাত্রায় রাজনৈতিক নাটকের তিনি ভগীরথ। কথাটা সর্বাংশে ঠিক নয়। তার আগেও যাত্রায় রাজনৈতিক নাটক হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজনৈতিক নাটককে নতুন ভাষ্যে উপস্থাপিত করেছিলেন। বলিষ্ঠ কনটেন্ট আর ফর্মের মধ্য দিয়ে সে সব প্রযোজনা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যাত্রায় উৎপল দত্ত সব সময় পছন্দ করতেন শেখর গঙ্গোপাধ্যায়, শিবদাস মুখোপাধ্যায়ের মতো বিশেষ কয়েকজন শিল্পীকে। এছাড়া ছিলেন অনাদি চক্রবর্তী, ইন্দ্র লাহিড়ী, নিরঞ্জন ঘোষ, মুকুন্দ দাস, বীণা ঘোষ, বর্ণালী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। তরুণরা তাঁর ঘরানাতেই গড়ে উঠেছিলেন। আর প্রবীণরা পেয়েছিলেন অভিনয়ের পূর্ণতার স্বাদ। তৈরি হয়েছিল পারস্পরিক শ্রদ্ধার একটা স্থান।
বিজন মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে তাঁর একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল। ‘দিল্লি চলো’ পালায় বিজনবাবু অভিনয় করতেন ইংরেজ কর্নেল ব্রেনানের ভূমিকায়। রিহার্সালের আগে উৎপল দত্ত যখন তাঁকে দেখেন তখন তিনি লুঙ্গি পরা। বিড়ি টানছিলেন। এই মানুষটি সাহেবের ভূমিকায় অভিনয় করবেন, ভাবতে কেমন সঙ্কোচ হচ্ছিল উৎপলের। কিন্তু মঞ্চে তাঁর অভিনয় দেখে তিনি চমকে গিয়েছিলেন। পরে তিনি বলেছিলেন, ‘ইংরেজের ভূমিকায় এত ভালো অভিনয় তিনি আগে দেখেননি।’ মঞ্চে একটা দৃশ্য ছিল ব্রেনান বিপ্লবী প্রদ্যোতের চোখ উপড়ে নিচ্ছে। প্রদ্যোতের ভূমিকায় ছিলেন শেখর গঙ্গোপাধ্যায়। সেই দৃশ্যে ব্রেনানের নিষ্ঠুরতার অভিনয় দেখে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে মঞ্চে উঠে পড়তেন ব্রেনানকে মারতে।
এরপর একে একে ‘সন্ন্যাসীর তরবারি’, ‘ঝড়’, ‘বৈশাখী মেঘ’, ‘সীমান্ত’, ‘তুরুপের তাস’, ‘সাদা পোশাক’, ‘দামামা ঐ বাজে’ ইত্যাদি পালা অভিনীত হল। কুড়ি বছর তিনি যাত্রার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে তিনি লিখেছিলেন বাইশটি পালা। সব পালা তেমন দাগ কাটেনি। হিট এবং ফ্লপ মিশিয়েই তিনি রাজত্ব করেছেন।
যাত্রায় উৎপল দত্তের কেরিয়ার নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যাত্রা গবেষক দিবাকর ভৌমিক বলেন, ‘উৎপল দত্ত মঞ্চরীতির একজন দক্ষ নির্দেশক। সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে পালাকার রূপে তাঁর সম্পর্কে অভিযোগ আছে, যা মামুলি নয়। যাত্রাপালার যে সাধারণ বৈশিষ্ট্য, তা তাঁর কোনও পালাতেই নেই। সত্যি কথা বলতে কী এগুলিকে পালা না বলে নাটক বলাই শ্রেয়। তাঁর নাটকগুলির মধ্যে দু’চারটি জনসমাদর পেলেও কয়েকটি তো দারুণভাবে ব্যর্থ। গ্রামবাংলায় তাঁর নাটকগুলি জনপ্রিয়তায় ব্রাত্য।’
এই মত মেনে নিলেও বলতে হয়, উৎপল দত্ত যাত্রায় একটা যুগ। উৎপল দত্ত যাত্রায় এক নতুন ভাষ্যের রূপকার। অসীম শ্রদ্ধা ছিল তাঁর যাত্রার প্রতি। একবার তাঁর সঙ্গে একটি ছবির শ্যুটিংয়ের অবসরে নানা বিষয়ে কথা হয়েছিল। বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে যাত্রা প্রসঙ্গও এসেছিল। সেদিনই বুঝেছিলাম যাত্রা এবং যাত্রাশিল্পীদের প্রতি কতটা তাঁর শ্রদ্ধাবোধ। বলেছিলেন, ‘যাত্রায় যুক্ত হয়ে বুঝেছি এখানে কত শক্তিশালী শিল্পীরা আছেন। প্রফেশনালিজম শিখতে হলে যাত্রার শিল্পীদের থেকেই শেখা উচিত। দেখেছি তাঁদের কাছে যাত্রা একটা ধর্মের মতো। শিল্পকে প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌছে দিয়েছে যাত্রা। সেটা নাটক পারেনি।’
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
13th  July, 2019
ইন্দিরা গান্ধী এসেছিলেন অ্যান্টনি কবিয়াল দেখতে 

বাংলা পেশাদারি রঙ্গমঞ্চের পীঠস্থান হাতিবাগান ও সংলগ্ন অঞ্চল। ইংল্যান্ডের থিয়েটার পাড়ার সঙ্গে একসময়ে যার তুলনা করা হতো। আজ সবই অতীত। সেই অতীতের গল্পকথায় ড. শঙ্কর ঘোষ।
বিশদ

27th  July, 2019
 রঙ্গমঞ্চে সাহেব

কলকাতার রঙ্গমঞ্চে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন অভিনেতা গায়ক সাহেব চট্টোপাধ্যায়। একান্ত সাক্ষাৎকারে নাটক নিয়ে নানা অভিজ্ঞতার কথা তিনি আমাদের প্রতিনিধি চৈতালি দত্তকে জানালেন।
বিশদ

27th  July, 2019
ম্যাকবেথ বাদ্যর শততম
অভিনয় ও ফ্র্যাঙ্কেন্স্টাইন

থিয়েটার নিয়েই সদা ব্যস্ত কসবা অর্ঘ্য’র মনীশ মিত্র। থিয়েটারেই তাঁর যাপন। তাঁর ভাবনা জুড়ে শুধুই থিয়েটার। থিয়েটারের শিকড়ে পৌঁছে, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, ভাবনাকে সঙ্গী করে, থিয়েটারের এক নতুন ভাষাকে, নিজের মতো করে তৈরি করেছেন। এই ভাষা, কল্পনার সার্থক প্রয়োগ দেখা গিয়েছে ‘ম্যাকবেথ বাদ্যে’।
বিশদ

27th  July, 2019
 ফের মঞ্চে পরশুরাম

তিনজন পরিচিত মানুষের আড্ডা। নানা বিষয় ঠাঁই পাচ্ছে তাদের আড্ডায়। সাম্প্রতিক বিষয়ের হাত ধরে কখনও তাঁরা পৌঁছে যাচ্ছেন মহাকাব্যের সময়ে। আলোচনায় উঠে আসছে রামায়ণকথা, অতীত কথা। কিন্তু রামায়ণ মানে কি শুধুই অতীত? তার সঙ্গে কি আজকের সম্পর্ক নেই? নিশ্চয়ই আছে। রামায়ণতো মানুষের কথা বলে।
বিশদ

27th  July, 2019
 ফের অনিকেত সন্ধ্যা

  ২৭ বছর আগে হইচই ফেলে দেওয়া নাটক ‘অনিকেত সন্ধ্যা’ ফের মঞ্চস্থ হতে চলেছে। গত শতকের ন’য়ের দশকে কলকাতার বিভিন্ন রঙ্গমঞ্চে হাউস ফুল শো হতো এই নাটকের। সেই সময়ে মোট ৪০০ রজনী অভিনীত হয়েছিল নাটকটি। এই নাটকের বিষয়বস্তু বার্ধক্যের যন্ত্রণা।
বিশদ

27th  July, 2019
 হত্যাকারী কে?

  গত ১৫ই মে সুজাতা সদনে অনুষ্ঠিত হল বেহালা বাতায়ন নিবেদিত নাটক ‘হত্যাকারী’। নাটকটি লিখেছেন বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায়। নির্দেশনা দিয়েছেন নবকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি বধুহত্যাকে কেন্দ্র করে এই নাটকের ঘটনাচক্র আবর্তিত হয়। একাঙ্ক নাটকটি পুরোটাই অধ্যাপক নরেন পালের বৈঠকখানায়।
বিশদ

13th  July, 2019
 সন্ত কবীরের কথা আজকের দিনে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক

 জাতপাত ও ধর্মের বৈষম্য, নিচু শ্রেণীর দলিত সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর উচ্চবর্ণের মানুষের অত্যাচারের মতো ঘৃণ্য বিদ্বেষভাব আজও সমাজকে আষ্টে-পৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিছু কিছু উন্নতি হলেও মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি। অথচ সমাজে সকলের সমানভাবে বেঁচে থাকার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত।
বিশদ

13th  July, 2019
প্রজ্ঞা কালচারাল সেন্টারের দুটি নাটক

 সম্প্রতি আইসিসিআর অডিটোরিয়ামে একদিনের নাট্যোৎসবে প্রজ্ঞা মঞ্চস্থ করল দুটি নাটক, ‘নাইন মাইলস টু গো’ এবং ‘পতি গয়ে রে কাটিয়াহার’। দুটি নাটকে দুটি ভিন্ন ধরনের বার্তা দেওয়া হয়েছে, যেগুলি সর্বকালের ও সময়ের জন্য খুবই অর্থবহ ও প্রাসঙ্গিক।
বিশদ

06th  July, 2019
 রাজনৈতিক অস্থিরতার দুটি দলিল

সমগ্র দেশ তো বটেই, এই রাজ্যেরও রাজনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। অত্যন্ত উত্তপ্ত। এখন রাজনীতি, মানেই দুর্নীতি, মিথ্যাচার, অপসংস্কৃতি, বিদ্বেষ আর আত্মসম্মানকে বিসর্জন দেওয়া এক মাদারির খেল। আর এই খেলা চলছে দু’টি দলকে কেন্দ্র করে। সাধারণ মানুষ আর রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে। এই নেতারা বহুরূপী।
বিশদ

06th  July, 2019
আধুনিক প্রজন্মের আকাশছোঁয়ার চাহিদাই ডেকে আনছে অনর্থ

 বিশ্বায়নের ফলে পৃথিবীটা এখন হাতের মুঠোয় এসে গেছে। মানুষের কাছে এখন সবকিছুই খুব সহজলভ্য হয়েছে। অর্থনৈতিক পরিকাঠামো, সামাজিক পরিস্থিতির চাপে যৌথ পরিবার ভেঙে তৈরি হয়েছে ছোট ছোট পরিবার বা নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি। যেখানে রোজগেরে স্বামী-স্ত্রী আর তাদের সন্তান নিয়েই তৈরি হয় একটি পরিবার।
বিশদ

06th  July, 2019
 কার্টেন কলের আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব

সম্প্রতি ‘কার্টেন কল’-এর ব্যবস্থাপনায় দু’দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়। মঞ্চস্থ হয় বাংলাদেশের নাট্যদল ‘পদাতিক’-এর দু’টি নাটক। প্রথমদিন মঞ্চস্থ হয় ‘কালরাত্রি’। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের উত্তপ্ত, ভয়াবহ দিনগুলোর প্রেক্ষাপটে নাটকের বিস্তার। স্বাধীনতার জন্য আকূল সমস্ত মানুষ।
বিশদ

06th  July, 2019
 ড্রা মে বা জি-২

সম্প্রতি চিলড্রেন থিয়েটার কার্নিভাল ‘ড্রামেবাজি-২’ হয়ে গেল আই সি সি আর-এ। দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টস আয়োজিত এই কার্নিভালে শিশুদের জন্য সারাদিনের এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
বিশদ

06th  July, 2019
পি সি চন্দ্র নাট্যোৎসব 

হাঁসফাঁস করা গরমে এক টুকরো শান্তি নিয়ে এল বাইপাস সংলগ্ন পি সি চন্দ্র গার্ডেনের সবুজের বিস্তার। তিনদিন ব্যাপী নাটকের আসর বসেছিল সবুজঘেরা এই ওয়েসিসে। নিবেদনে পি সি চন্দ্র। 
বিশদ

29th  June, 2019
অস্থির সময়ে বেঁচে থাকার নতুন দিশা 

একটা অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছি। সন্ত্রাস, হত্যা চলছে ধর্মের নামে, জাতের নামে। সৃষ্টি হচ্ছে বিভেদ, অসহিষ্ণুতা। যা দেশ, কাল, সময়ের বৃহত্তর গণ্ডি পেরিয়ে উঁকি দিচ্ছে পরিবারে, সম্পর্কে। মানুষ এখন আত্মকেন্দ্রিক, নিজের ভালো ছাড়া আর কিছু দেখে না।  
বিশদ

29th  June, 2019

Pages: 12345

একনজরে
মাইসুরু, ১৮ নভেম্বর: রবিবার মাইসুরুতে একটি বিয়েবাড়িতে যোগ দিতে গিয়ে আততায়ীর হামলায় গুরুতর জখম হলেন কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়ক তনভির সাইত। তাঁর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এক ব্যক্তি। ...

সংবাদদাতা, ইসলামপুর: সোমবার সকালে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর থানার বেলন গ্রাম পঞ্চায়েতের পটুয়া এলাকায় ধান খেতে এক অজ্ঞাতপরিচয়ের যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।   ...

ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দু’টি পরীক্ষার মধ্যে দু-একদিন করে ছুটি থাকবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩৮: সমাজ সংস্কারক কেশবচন্দ্র সেনের জন্ম
১৮৭৭: কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৭: ভারতের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জন্ম
১৯২২: সঙ্গীতকার সলিল চৌধুরির জন্ম
১৯২৮: কুস্তিগীর ও অভিনেতা দারা সিংয়ের জন্ম
১৯৫১: অভিনেত্রী জিনাত আমনের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৮৪ টাকা ৭২.৫৪ টাকা
পাউন্ড ৯১.০৬ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৮৫ টাকা ৮০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৫৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৬০৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,১৫৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৯ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ২৪/১১ দিবা ৩/৩৬। অশ্লেষা ৩৮/৩৮ রাত্রি ৯/২২। সূ উ ৫/৫৫/২২, অ ৪/৪৮/২৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৭/২৩ গতে ১১/০ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১/৩৪ গতে ৩/১৯ মধ্যে পুনঃ ৫/৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/১৬ গতে ৮/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫ মধ্যে। 
২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৯ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ১৯/২৬/৫২ দিবা ১/৪৩/৫৬। অশ্লেষা ৩৬/১/৪১ রাত্রি ৮/২১/৫১, সূ উ ৫/৫৭/১১, অ ৪/৪৮/১৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫০ মধ্যে ও ৭/৩০ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে ও ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে ও ১/৪১ গতে ৩/২৮ মধ্যে ও ৫/১৪ গতে ৫/৫৮ মধ্যে, বারবেলা ৭/১৮/৩৬ গতে ৮/৪০/১ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৩/১৫ গতে ২/৫/৪০ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭/৪ গতে ৮/৫/৪০ মধ্যে।
২১ রবিয়ল আউয়ল  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বৃষ: বিদ্যার্থীরা শুভ ফল ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৩৮: সমাজ সংস্কারক কেশবচন্দ্র সেনের জন্ম১৮৭৭: কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম১৯১৭: ...বিশদ

07:03:20 PM

দিল্লিতে ভূমিকম্প 

07:07:50 PM

বুধেরহাটে অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী বধূ 
স্বামীর সঙ্গে অশান্তির জেরে অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হলেন এক বধূ। ...বিশদ

06:22:42 PM

মালদহের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

06:13:00 PM

বিধানসভায় পালিত হবে সংবিধান দিবস 
২৬ এবং ২৭ নভেম্বর রাজ্য বিধানসভায় পালিত হবে সংবিধান দিবস। ...বিশদ

03:59:00 PM