বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের হিসেবে এদেশে বছরে গড়ে সোনার চাহিদা হয় ৮৫০ টন। যেহেতু সোনার দাম চড়া এবং পারিপার্শ্বিক নানা কারণে এবার নিদেনপক্ষে আশা ছিল, সেই চাহিদা ৭০০ থেকে ৮০০ টনের মধ্যে থাকবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে যে অভূতপূর্ব সঙ্কট তৈরি হয়েছে, তাতে সেই চাহিদা তার চেয়েও ৩০ শতাংশ কমবে এবছর, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। আইসিসি’র জুয়েলারির ন্যাশনাল এক্সপার্ট কমিটির চেয়ারম্যান এবং সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের সিএমডি শঙ্কর সেন বলেন, কারিগররা লকডাউনের প্রভাবে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তা মারাত্মক। এর পাশাপাশি শিল্পমহলও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। অগ্রিম কর প্রদান, গোল্ড মেটাল লোনের সুদ প্রদান, মেয়াদ শেষে ওই ঋণের টাকা মেটানো, প্রভৃতি বাধ্যবাধকতায় জর্জরিত স্বর্ণশিল্প মহল। শঙ্করবাবুর কথায়, আমরা চাই সরকার অন্তত ছ’মাস অগ্রিম কর আদায়ের সময়সীমা বাড়াক। গোল্ড মেটাল লোনের সুদের হার কমানো হোক। পাশাপাশি টার্ম লোনের উপর সুদের হার অন্তত ৫০ শতাংশ কমানো হোক।
বেসরকারি সংস্থার পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করছে, পিএফের ক্ষেত্রে তিন মাসের জন্য সংস্থাগুলির কর্মীদের ও কর্মদাতার তরফে দেয় টাকা মেটাবে কেন্দ্র নিজেই। এক্ষেত্রে অবশ্য সংস্থায় কর্মী সংখ্যা ১০০’র কম হতে হবে এবং কর্মচারীদের বেতন ১৫ হাজার টাকার নীচে হতে হবে। আইসিসি চায়, ওই সুবিধা বাড়ানো হোক ছ’মাস পর্যন্ত। শঙ্করবাবুদের দাবি, সরকার একটি তহবিল তৈরি করুক এবং সেই তহবিল থেকে কারিগর বা স্বর্ণশিল্পীদের আর্থিক সাহায্য করা হোক। কারণ তারাই এই শিল্পের মূল মেরুদণ্ড। অথচ সোনার দোকানগুলি বন্ধ থাকায় তাদের হাতে এখন কোনও কাজ নেই। কারণ স্বর্ণশিল্পকে না বাঁচাতে পারলে ৫০ লক্ষ মানুষের জীবন-জীবিকায় টান পড়বে। দেশের মোট উৎপাদনের সাত শতাংশ দখল করে রাখে এই শিল্পক্ষেত্রই।