বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মাংসের জন্য ব্রয়লার মুরগির চাষ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হয়। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, হুগলির মতো জেলাগুলিতে এই চাষ করে বহু যুবক আয়ের পথ দেখেছেন। কিন্তু ডিম উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বেশি মুরগি পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রামে চাষ হয়। এই জেলাগুলিতে কয়েক হাজার খামার রয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আধিকারিক তারাশঙ্কর পান বলেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিও গ্রামে মুরগি চাষ করছেন। তাতে ডিম এবং মাংস দু’য়েরই উৎপাদন বেড়েছে। আগামী দিনে তারাও ডিম এবং মাংসের জোগান দেবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০দিনের প্রকল্পে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে খামার করে দেওয়া হয়েছে। মুরগির বাচ্চা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। মুরগির পাশাপাশি রাজ্যে হাঁস চাষ বাড়ানোর দিকেও জোর দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্যে হাঁসের ডিমের উৎপাদন কম হয়।
প্রসঙ্গত, মাঝে কিছু দিন মুরগির ডিমের দাম কমে গেলেও পরে হঠাৎ করে কয়েক দিন বেড়ে যায়। এখন অবশ্য স্বাভাবিক রয়েছে। আধিকারিকদের দাবি, লকডাউন চললেও বাজারে ডিমের জোগান ঠিক রয়েছে। কালোবাজারি হওয়া উচিত নয়। প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে কেন্দ্রীয় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়ে জানায়, করোনা আতঙ্কের জেরে পোলট্রি ব্যবসায় ইতিমধ্যেই বিপুল ক্ষতি হয়েছে। মুরগির মাংস বা ডিম থেকে করোনা ছড়ায় না বলে প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মাংস এবং ডিমে প্রোটিন রয়েছে। তা খাওয়া হলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছিল। সেইমতো বিভিন্ন জায়গায় প্রচারও চালানো হয়। প্রাণিসম্পদ দপ্তরের দাবি, বহু মানুষ গুজবে প্রথম দিকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। সেকারণে তারা একসময় মুরগির মাংস খাওয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ভুল ভাঙতেই আবার মাংসের চাহিদা বেড়েছে। মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এলাকায় গোটা মুরগি ২০টাকাতেও অনেকেই বিক্রি করেছিল। এখন অবশ্য সেই চিত্র বদলে গিয়েছে। মাংস এবং ডিম দুইয়েরই চাহিদা আগের তুলনায় বেড়েছে। মুরগি থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ায় না। দেরিতে হলেও তা অনেকেই বুঝতে পেরেছেন। আগামী দিনে রাজ্যে আরও বেশি ডিম এবং মাংসের উৎপাদন বাড়ানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছে।