বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
ফুলবাজার পরিচালন সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বর্ণকমল সাহা বলেন, সাধারণ ফুলচাষী ও ব্যবসায়ীরা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কিন্তু কী করা যাবে। সরকারি নিয়মকানুন তো মানতেই হবে। তিনি জানান, ৮ এপ্রিল থেকে ফের খুলেছে ফুলবাজার। কিন্তু গণপরিবহণ বন্ধ থাকার কারণে অনেক ফুলচাষী ও ফুল ব্যবসায়ী আসতে পারছেন না এখানে। আমরা চাই, সরকারি গাইডলাইন মেনে এই ফুলবাজার চলুক। তাতে সকলেই উপকৃত হবেন। তিনি জানান, ওই চত্বর এখন নিয়ম করে সাফ করা হচ্ছে। ফুলচাষীরা মাস্ক ব্যবহার করছেন। বজায় রাখা হচ্ছে পরিছন্নতা।
ফুলবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে এখানে আছে প্রায় ২৫০টি স্টল। লকডাউন ঘোষণার পর ফুল ব্যবসায়ীরা তল্পিতল্পা গুটিয়ে দেশের বাড়ি চলে গিয়েছেন। এরপর ৮ এপ্রিল ফুলবাজার ফের খুললেও যানবাহন বন্ধ থাকায় ওই ব্যবসায়ীরা কলকাতায় আসতে পারেননি। তাই ফুলবাজারে একটা বিরাট অংশ এখনও কার্যত ঝাঁপ বন্ধ। আশপাশের কয়েকটি জেলা থেকে সরকারি নির্দেশ মেনে কিছু ছোট ফুলচাষী ও ব্যবসায়ী এখন ফুল বিক্রি করছেন। ফুলচাষীদের একাংশ জানান, আগে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফুলবাজার খোলা থাকত। গত ৮ এপ্রিল থেকে ফুলবাজার খোলা থাকছে ভোর থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত। তাঁদের বক্তব্য, এই সময়ের মধ্যে আমাদের আসা-যাওয়া বিক্রিবাটা সব শেষ করতে হচ্ছে। ফুলচাষী অচিন্ত্য পাল বলেন, আগে না খেতে পেয়ে মরছিলাম। এখন তো কম-বেশি কিছু রোজগার হচ্ছে, যা দিয়ে পরিবারের মুখে দুটো অন্ন তুলে দিতে পারছি। এটা কী কম বড় কথা। এর জন্য আমরা সরকারকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। আর এক ফুল ব্যবসায়ী তপন মালাকার বলেন, প্রচণ্ড গরমে প্রচুর ফুল নষ্ট হচ্ছে। আমরা তো ছোট ব্যবসায়ী। আমাদের হিমঘরে ফুল রাখার মতন অর্থ নেই। তাছাড়া চারদিকে সমস্ত কিছু বন্ধ। তাই এখন সময় হয়ে গেলে কম দামে ফুল বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছি। কারণ দেরি হলে আর বাড়ি ফিরতে পারব না। ফুল ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, আমরা এখন প্রায় পথে বসেছি। জানিনা আর কতদিন এভাবে চলবে। কারণ যা বিক্রি হচ্ছে, তাতে খুব একটা লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছি না।