বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
চৈত্র সেলের বাজার না পেয়ে কতটা হতাশ ব্যবসায়ীরা? ধরা যাক নিউমার্কেটের কথাই। এখানে চৈত্র মাসে হরেক অফার নিয়ে হাঁকডাক করেন দোকানিরা। এবার সেই ধর্মতলা চত্বর বা নিউমার্কেট এলাকা শুনশান। নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সংগঠনের অন্যতম কর্তা দেবু ভট্টাচার্যের কথায়, আমরা সবাই বড় অঙ্কের লোকসান করছি, এতে কোনও সন্দেহ নেই। আপাতত সেসব নিয়ে ভাবছি না। বরং, করোনার সঙ্গে মোকাবিলা করব কী করে, তা নিয়েই চিন্তা বেশি। আপাতত এর গ্রাস থেকে রক্ষা পেতে হবে, তারপর ব্যবসা। গড়িয়াহাট ইন্দিরা হকার্স ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সভাপতি অভিজিৎ সাহার কথায়, আমরা গড়িয়াহাট এবং বালিগঞ্জ মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার ব্যবসায়ী রয়েছি। আমাদের সবারই নজর থাকে পুজো ও চৈত্র সেলের দিকে। এবারও আশা ছিল, ভালো ব্যবসা হবে। কিন্তু যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে আপাতত বেঁচে থাকাটাই আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। নিজেদের মানসিকতাকে সেই ভাবেই তৈরি করে নিচ্ছি ও নিয়েছি।
চৈত্র সেলের দিকে চেয়ে থাকে হাওড়ার মঙ্গলাহাটও। লকডাউনের গেরোয় সেখানেও ব্যবসার দফারফা। এই হাটের অন্যতম কর্মকর্তা মানিক সাহার কথায়, বহু মানুষ আমার কাছে ফোন করে জানতে চাইছেন, কবে কাটবে এই সঙ্কট। যে টাকার ক্ষতি হল, তা মেটানো যাবে কী করে, তা নিয়েই চিন্তিত অনেকেই। কিন্তু আমরা বলছি, আগে বাঁচতে হবে। সবাইকে বাঁচাতে হবে। তারপর আমরা ব্যবসার কথা চিন্তা করব। চৈত্র শেষে পয়লা বৈশাখে ভালো কেনাকাটা হয় গয়নার দোকানগুলিতেও। সেখানে চালু থাকে হরেক আকর্ষণীয় অফারও। এবার আর সেসব নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অন্যতম সংগঠন স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি বাবলু দে বলেন, আমরা আর সোনাদানা নিয়ে ভাবছি না। আমাদের ভাবনা কর্মচারী আর কারিগরদের নিয়ে। কর্মচারীদের বেতন কীভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়, তার বন্দোবস্ত করছেন সবাই। এদিকে কারিগররা যে সঙ্কটে পড়েছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে আমরা তহবিল গঠন করছি। ইতিমধ্যেই ডোমেস্টিক কাউন্সিল একটি তহবিল থেকে আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে কারিগরদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো শুরু করেছে। যাঁদের ব্যাঙ্কের তথ্য কাউন্সিল বা আমাদের কাছে নেই, আমরা সেসব জোগাড় করছি। পাশাপাশি জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলও আরও একটি তহবিল গড়ে কারিগরদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।