গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
এদিকে বিয়ের পর সম্প্রতি ওই দম্পতি শ্রীপতিপুর গ্রামে ফিরে আসে। বাড়ি ফেরার পরেই বধূর উপর পণের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হত বলে দাবি। মৃতার মা গীতা দাস বলেন, মেয়ে বিয়ের পর থেকেই অশান্তি ভোগ করছিল। বাড়ি থেকে পণ নিয়ে আসার জন্য ওকে প্রায়দিন মারধর করা হত। পণ দিতে পারব না বলায় মেয়েকে ঘরবন্দি করে রাখা হত। মেয়ে এসব কথা মোবাইলের মাধ্যমে আমাদের জানাত। এরপর এদিন সকালে মেয়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে আমরা শ্রীপতিপুর গ্রামে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে বুঝতে পারি যে মেয়েকে মেরে ঘরে গামছার ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শ্রীপতিপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃতার মাসি ছবি ঘোষ বলেন, সকালে মৃত্যুর খবর পেয়ে বোনঝির বাড়ি গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখা গিয়েছে নিথর দেহ ঝুলছে। আর বাড়ি একেবারে ফাঁকা। শ্বশুরবাড়ির লোকজন সকলে পালিয়েছে। গ্রামের মানুষ জায়গা ঘিরে রেখেছে। পরে পুলিস পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় মৃতার মা জামাই সহ মেয়ের শ্বশুরবাড়ির চারজনের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন ভরতপুর থানায়। পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।