জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, ধৃতরা সবাই অনলাইনে এটিএম প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত। তারা এলাকার বয়স্ক, অশিক্ষিত লোকজনকে টার্গেট করে বিভিন্ন কৌশলে কিছু টাকার লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলিয়ে নিত। পরে সেইসব অ্যাকাউন্টের এটিএম কার্ড সহ যাবতীয় তথ্য বিক্রি করে দিত জামতাড়া, কলকাতা ও দিল্লির সাইবার প্রতারকদের কাছে। পরে, রাজ্য সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক থেকে জালিয়াতির টাকা ওইসব আক্যাউন্টগুলির মাধ্যমে লেনদেন করত প্রতারকরা। পুলিসের অনুমান, এই চক্রের সঙ্গে রানিনগর থানা এলাকার প্রচুর যুবক জড়িয়ে রয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আর কে কে এই চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে, তার তদন্ত করার জন্য শুক্রবার ধৃতদের সাত দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে লালবাগ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গত কয়েকদিনে মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়া থানা এলাকায় এটিএম প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল হরিহরপাড়া থানার পুলিস। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বাড়ি ডোমকল মহকুমা এলাকাতে। তারাও এটিএম জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ছিল। তদন্তকারী এক আধিকারিক বলেন, অনেক আগে থেকেই তাঁরা গোপনে এই চক্রের সঙ্গে জড়িতদের নজর রাখছিল। অনেক সময়ে বিভিন্ন এটিএম-এ অল্পবয়সীদের সন্দেহজনক ঘোরাফেরাও নজর রাখা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রানিনগরের শেখপাড়া বাজারের একটি এটিএমে ধৃতদের মধ্যে একজনের সন্দেহজনক ঘোরাফেরা লক্ষ্য করে পুলিস । এরপরই সোর্স মারফৎ ইনপুটের ভিত্তিতে তাকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার কথাবার্তায় অসঙ্গতি মেলে। তল্লাশি চালাতেই বিভিন্ন নামের বেশ কয়েকটি এটিএম পাওয়া যায়। এরপরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে বাকিদের জালে তোলা হয়।