জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
সোমবার পুরসভাগুলকে নিয়ে বৈঠকে পুলিসের ট্রাফিক বিভাগকে তিরস্কার করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘রাস্তা আটকে গাড়ি, অটো, টোটো দাঁড়িয়ে থাকছে। ট্রাফিক জ্যাম হচ্ছে, দুর্ঘটনা ঘটছে। পুলিস দেখেও দেখে না। আমি বললে তখন একবার ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ করে দেখানোর জন্য। তারপর যেমন ঘুমিয়ে পড়ার, আবার ঘুমিয়ে পড়ে।’ মুখ্যমন্ত্রীর তিরস্কারে ঘুম ভাঙে পুলিসের। পরের দিন সকাল থেকেই মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিতে শুরু করে ট্রাফিক পুলিসের কর্মীরা। শহরের রিং রোডজুড়ে থাকা অসংখ্য দোকানপাট থেকে শুরু করে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিসের সামনে থাকা গাড়ি, টোটো, বাইক হটাতে শুরু করেন পুলিস কর্মীরা।
পুলিসি অভিযানে দেখা যায়, অনেকেই গাড়ি রাস্তার উপরে রেখে দিয়ে নিজেদের কাজ সারতে চলে গিয়েছেন। যাত্রী তোলার অছিলায় যত্রতত্র দাঁড়িয়ে রয়েছে টোটো। সেরকম বহু গাড়ির জরিমানাও করে পুলিস। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, পুলিস যদি বছরভর এরকম তত্পরতা দেখায়, তাহলে শহরের যানজট অনেকটাই কমে যাবে। যদিও বাসিন্দাদের আরেক অংশের দাবি, পুলিস অবৈধ পার্কিং আটকাতে চাইছে তা অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। কিন্তু তার জন্য বিকল্প পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করুক। শহরে তো আলাদা করে কোনও পার্কিং জোনও নেই!
শুধু অবৈধ পার্কিং নয়, শহরের যানজটের জন্য অন্যতম দায়ী ফুটপাত দখল করে গজিয়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট। যত দিন যাচ্ছে, ততই সংকীর্ণ হচ্ছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো। দু’পাশে মাথা তুলছে একের পর এক দোকান। বিশেষ করে, গত কয়েক বছরে ফুটপাতের যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছে ফাস্ট ফুডের দোকান। রাস্তার উপরেই পেতে রাখা হচ্ছে টেবিল চেয়ার। যার জন্য রাস্তাতেও পথচারীদের হাঁটাচলা করা সমস্যা। পুরসভা সূত্রে খবর, বর্তমানে শহরে প্রধান রাস্তা রয়েছে প্রায় ২০ কিলোমিটার। তার মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ রাস্তাই হকারদের দখলে। শুধু তাই নয়, স্থায়ী ব্যবসায়ীদের অনেকেই রাস্তার উপর বিভিন্ন জিনিসপত্র রাখতে শুরু করেছেন।পুরসভার একাংশের মদতেই এসব হচ্ছে বলে অভিযোগ শহরবাসীর। সবমিলিয়ে, শহরের রাস্তা দিয়ে চলাচল করাটাই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে শহরে ঢুকতেও বেগ পেতে হয়। তাছাড়া, হকারদের দাপটে শহরের নিকাশি ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ছে। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই জল জমছে সদর শহরের রাস্তায়। পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন, জবরদখল আর বরদাস্ত করা হবে না। কড়া হাতেই মোকাবিলা করা হবে। শীঘ্রই আমরা অভিযানে নামব।-নিজস্ব চিত্র