নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শিয়ালদহের বিদ্যাপতি সেতুর সংস্কারের ক্ষেত্রে মূল জটিলতাই ব্রিজের তলার শিশির মার্কেটের দোকানদারদের পুনর্বাসন। যদিও, ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, নিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের সঙ্গে সবরকমের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তাঁরা। মঙ্গলবার শিশির মার্কেটে যৌথ পরিদর্শন করেন কলকাতা পুরসভা ও কেএমডিএর অফিসাররা। ছিলেন মার্কেট ইউনিয়নের নেতা সহ অন্যান্য দোকানদারও। ঠিক হয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে সমীক্ষা শুরু হবে। গোটা সেতুর নীচে শিশির মার্কেটের মোট পাঁচটি ব্লক রয়েছে। সব মিলিয়ে ৪৫টি পিলার এই ব্লকের মধ্যে পড়ে। এক একটি পিলারের গায়ে কটি করে দোকান রয়েছে, প্রতিটি দোকানের আয়তন কত, সেই সব সমীক্ষা হবে। এদিন শিয়ালদহ সেতুর নীচে মার্কেট পরিদর্শনে আসেন কেএমডিএ ও পুরসভার বাজার ও সার্ভে বিভাগের কর্তরা। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখানে বাজারের একাংশ ঘুরে দেখেন তাঁরা। পরে বৈঠকও হয়। ঠিক হয়েছে, আপাতত একটি সমীক্ষা হবে। সেতুর কটি পিলারের গায়ে কটি করে দোকান রয়েছে, তারা কতটা জায়গা নিয়ে রয়েছে, সেটাই সমীক্ষা হবে। কেএমডিএ জানিয়েছে, পিলারগুলি শক্তপোক্ত ‘জ্যাকেটিং’ করা হবে। লোহার রডের খাঁচা দিয়ে ঢেকে কংক্রিটের ঢালাই করা হবে। তাতে সংস্কারের পর এক একটি পিলার বহরে অন্তত এক ফুট করে বাড়বে। এর ফলে দোকানগুলির আয়তন কতটা বাড়তে বা কমতে পারে, সেইগুলিও সমীক্ষায় উঠে আসবে। সেই অনুযায়ী একটি বিস্তারিত রিপোর্ট কলকাতার মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে পেশ হবে। তারপর পুনর্বাসন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পিলারের তলায় শিশির মার্কেটের বাইরে যে চাতাল রয়েছে, সেখানে পুনর্বাসন দেওয়ার প্রস্তাব উঠেছে। তবে, কতজনকে একসঙ্গে পুনর্বাসন দেওয়া যাবে, তার উপর সংস্কারের কাজ এবং সময়সীমা নির্ভর করছে। তবে সংস্কার-পর্ব পুজোর পর শুরু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলার মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সমীক্ষাটাই আসল। তারপর পুনর্বাসনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। তবে, এত মানুষের রুজি-রোজগার জড়িত। তাই
পুজোর পর কাজ শুরু করলে ভালো হয়। সেই প্রস্তাব উঠেছে। তবে, শীর্ষ মহল সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
নেবে। -নিজস্ব চিত্র