জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
যাত্রী ও রেল পুলিসের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দত্তপুকুর লোকাল নির্ধারিত সময়েই ছেড়েছিল। পিছনের দিকের মহিলা কামরায় বছর পঞ্চাশের এক মহিলা বাচ্চা কোলে বসেছিলেন। ট্রেন বিশরপাড়া ষ্টেশনে পৌঁছতেই মাস চারেক বয়সের শিশুপুত্র জোর কান্নাকাটি শুরু করে। প্রবল কান্না শুনে সহযাত্রীরা ওই মহিলাকে নানা প্রশ্ন করতে শুরু করেন। এসবের মধ্যেই কেউ রটিয়ে দেয়, ছেলেধরা ধরা পড়েছে। কামরাতেই মহিলাকে চড়-থাপ্পড় মারা হয় বলে অভিযোগ। কয়েক মিনিটের মধ্যে ট্রেনটি বিরাটি স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢুকতেই চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। মহিলাকে মারতে মারতে ট্রেন থেকে টেনে নামানো হয়। তাঁর হাতে একটি বড় ব্যাগ দেখে কেউ কেউ বলে ওঠে, ওই ব্যাগে ভরেই শিশুপাচার করা হচ্ছিল। উন্মত্ত জনতা সেই খবরে আরও মারমুখী হয়ে ওঠে। পুলিস মহিলা ও শিশুকে সরিয়ে নিয়ে যেতেই দলে দলে যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দা জড়ো হয়ে রেল অবরোধ শুরু করে দেন। ওই মহিলাকে সবার সামনে হাজির করানোর দাবিতে তুলকালাম শুরু হয়ে যায়। ছুটে আসে র্যাফ ও নিমতা থানার বিশাল বাহিনী। শেষ পর্যন্ত পুলিস লাঠিচার্জ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। আধঘন্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রেল পুলিস ওই মহিলা ও শিশুকে বারাসত জিআরপি থানায় নিয়ে যায়। থানার ওসি রুকসানা পারভিন সহ অন্যান্য আধিকারিকরা মহিলাকে দফায় দফায় জেরা করেন। ওই মহিলা পুলিসকে জানিয়েছেন, তাঁর নাম টায়রা। স্বামীর নাম দশরথ। তাঁরা দমদমের রেলবস্তিতে থাকেন। তাঁর ছয় সন্তানের মধ্যে এই শিশুটি সবচেয়ে ছোট। তাকে ডাক্তার দেখানোর জন্যই তিনি বারাসতে এসেছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন। এদিন বিকেলে মহিলাকে নিয়ে রেল পুলিসের টিম দমদমে তাঁর দেওয়া ঠিকানার খোঁজে যায়। তবে রাত পর্যন্ত ঠিকানা মেলেনি। তবে মহিলা ওড়িয়া ভাষায় কথা বলছেন। রেল পুলিস জানিয়েছে, মহিলার ঠিকানা ও বাড়ির সদস্যদের খুঁজে পাওয়া গেলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।