জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
গত বুধবার সকালে বাড়ি থেকে বেরনোর পর নিখোঁজ হয়ে যান কৌশিক। এই দু’দিন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করলেও বাড়ির লোকজন তাঁর হদিশ পাননি। এদিন সকালে বাড়ির কাছেই রামপুর খাল সংলগ্ন একটি গাছে কৌশিককে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই পুলিসে খবর দেন। জয়পুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর পুলিস মৃতদেহটি উদ্দার করে ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়ার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গিয়েছে। মৃত যুবকের পরিবার কৌশিকের প্রেমিকা সহ তিনজনের নামে জয়পুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। জয়পুর থানার পুলিস খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগেই রাজাপুর থানার তেহট্ট কাঁটাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা এক তরুণীর সঙ্গে কৌশিকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু তরুণীর পরিবার এই সম্পর্ক মানতে চায়নি। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, এ নিয়ে ওই তরুণীর পরিবার বহুবার কৌশিককে হুমকি দিয়েছে।
মৃতের মা লীলা রায় বলেন, কৌশিক নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন আগে তরুণীর বাবা এবং ওই আত্মীয় ফোন করে আমার ছেলেকে শাসিয়ে ছিল। কিছুক্ষণ বাদে পাঁচলার বাসিন্দা ওই আত্মীয় ফের ফোন করে ছেলেকে বলে, তোমাদের বিয়ের ব্যাপারে আমরা রাজি। তোমার সঙ্গে কথা আছে, বুধবার একবার জয়পুর মোড়ে এসো। লীলাদেবীর দাবি, সেদিন কৌশিক জয়পুর মোড়ে গেলে দু’জন লোক তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে ছেলের ফোন সুইচড অফ হয়ে যায়। অপহরণকারীদের সঙ্গে তরুণীর ওই আত্মীয়ের যোগাযোগ রয়েছে। আমরা পরে জয়পুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করি। পুলিস এই দু’দিন ছেলের কোনও খোঁজ দিতে পারেনি। শেষমেশ আজ ছেলেকে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। ছেলেকে অপহরণের পর খুন করা হয়েছে বলে মায়ের অভিযোগ। মৃতের কাকা সঞ্জিত রায় বলেন, বাড়ি থেকে বেরনোর সময় মায়ের কাছ থেকে ১০ টাকা নিয়ে কৌশিক জয়পুর মোড়ে গিয়েছিল। তারপর থেকেই নিখোঁজ। তাঁর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার কৌশিকের খোঁজে তরুণীর বাড়িতে গেলে ওই পরিবারের সদস্যরা আমাদের সঙ্গে দুর্বব্যহার করেন। তিনি দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, মৃত যুবকের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।