গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
ইতিমধ্যেই শেষ লগ্নের প্রচারে বারে বারেই গেরুয়া শিবিরকে বিঁধছে তৃণমূল। যার ফলে অস্বস্তিতে রয়েছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূল নেতৃত্ব জানাচ্ছে, পাঁচ বছর পার হয়ে গেল, কিন্তু রেলপথ আর হল না। তাই উন্নয়নের জন্য তৃণমূলের পাশেই থাকতে হবে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার নয়াগ্রামের পথসভায় দিলীপ ঘোষ বলেন, খড়গপুর থেকে গোপীবল্লভপুর হয়ে বারিপদা অবধি রেলপথ দরকার। গরিব মানুষের জীবনের উন্নয়নের জন্য রেলপথ প্রয়োজন। প্রসেসের মধ্যে আছে। আমরা চেষ্টা করব যাতে ভোটের পর সমীক্ষা হয়। আজ হোক, কাল হোক রেলপথ করতে হবে। না হলে এই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন হবে না। জঙ্গলমহলের কাজ যাতে হয় সেজন্য নিজে দিল্লিতে গিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। দরকার হলে আমি মন্ত্রীকে নিয়ে আসব।
পাল্টা জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, গোপীবল্লভপুর-বারিপদা রেলপথ কোথায় হল? গত লোকসভা নির্বাচনে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। ভোট এলেই বিজেপি শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়। বাস্তবায়িত কোনওদিনই করেনি। আর কোনও দিন করবে না। সামনে ভোট, মানুষের জন্য কিছুই করেনি। তাই ফের ঝুলি থেকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। এর জবাব মানুষ ভোট বাক্সে দেবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী কুনার হেমব্রমের নির্বাচনী প্রচারে গোপীবল্লভপুরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। কুনার জিতবেন বলে আশাবাদী ছিলেন তাঁরা। সেই সময় বলা হয়েছিল, কুনারবাবু জিতলে ঝাড়গ্রাম থেকে গোপীবল্লভপুর হয়ে ওড়িশা সংযোগকারী রেলপথে সূচনা হবে। কিন্তু পাঁচ বছর কেটে গেলেও রেলপথ নিয়ে কোনও উদ্যোগী নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। রেলপথকে প্রচারের হাতিয়ার করেছে তৃণমূল। গোটা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তো বটেই, গোপীবল্লভপুর-১, গোপীবল্লভপুর-২, নয়াগ্রাম এলাকায় জোরকদমে প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে জেলার চারটি বিধানসভা যায় তৃণমূলের দখলে। গত লোকসভা নির্বাচনের পর আর একটিও নির্বাচনে বিরোধী শিবির ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিজেপি গোহারা হেরেছে। তাই এবারের নির্বাচনের আগে ফের একই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
এদিন বিজেপির জেলা সম্পাদক দীনবন্ধু কর্মকার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার প্রজেক্ট করতে চায়। কিন্তু রাজ্য সরকার জমি নিয়ে অশান্তি করছে। এইভাবে বহু প্রজেক্ট থমকে রয়েছে। মানুষ জবাব দিয়ে দেবে। নিশ্চিত ভাবে তৃণমূল হারবে।