সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন: বিকল এসি।  তার উপর ছাদ থেকে ক্রমাগত জল পড়ে। বাধ্য হয়ে কোচের ভিতর ছাতা নিয়ে সফর করলেন যাত্রীরা। এই ছবি কোনও সাধারণ এক্সপ্রেস ট্রেনের নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের ‘বন্দে ভারত’-এর! মঙ্গলবারের রাত। এনজেপি থেকে হাওড়া আসছে ‘বন্দে ভারত’। সি-১৩ কোচের মধ্যে তুলকালাম অবস্থা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র চলছে না। গলদঘর্ম অবস্থা যাত্রীদের। তার মধ্যেই ছাদ থেকে মাথার উপর টপাটপ জল পড়ছে।  অভিযোগ, এনজেপিতে ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই এই বিষয়ে বারবার রেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। শেষে কোনওরকমে মাথায় উপর ছাতা ধরে সফর করতে হয়। বোলপুরে ট্রেন ঢুকতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। তাঁদের অনেকেই বলছেন, ‘বন্দে ভারতে দুঃস্বপ্নের যাত্রা করলাম।’ 
ভারতীয় রেল ব্যবস্থায় সর্বশেষ সংযোজন এই অত্যাধুনিক ট্রেন ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেস। সম্পূর্ণ বাতানুকূল, তীব্রগতি সহ নানান ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে ট্রেনে। বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে এসে মোদি-শাহদের মুখে ঘুরেফিরে এসেছে ‘বন্দে ভারত’-এর কথা। কিন্তু, মঙ্গলবার রাতে এনজেপি থেকে সি-১৩ কোচে যাঁরা ফিরছিলেন, তাঁদের তিক্ত অভিজ্ঞতা বিজেপিকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও সমস্যার কথা মেনে নিয়ে রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র বলেন, ‘যাত্রীদের অবশ্যই অসুবিধা হয়েছে। তবে মারাত্মক কোনও ঘটনা নয়। আমরা বিষয়টি নজর রেখেছি। আগামীদিনে যাতে এমন অসুবিধার সম্মুখীন যাত্রীদের না হতে হয়, সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
সি১৩ কোচের যাত্রী অনুশ্রী দে, পারমিতা ধারা, রামচন্দ্র দাসরা ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলছিলেন, ‘ট্রেন রওনা দেওয়ার সময় থেকেই আমাদের অসুবিধার মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে হয়েছে। তীব্র গরমের মধ্যে এসি বন্ধ, তার উপর ছাদ থেকে জল পড়ছিল। বারবার জানানো সত্বেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ।’