ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
এদিন দুপুরে হলদিয়ায় দলীয় প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের সমর্থনে প্রচার শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী কাঁথিতে রওনা দেন। কাঁথির অরবিন্দ স্টেডিয়ামে তাঁর হেলিকপ্টার নামে। সওয়া ৩টে নাগাদ শহরের জুনপুট মোড় থেকে রোড শো শুরু হয়। তার অনেক আগে থেকে শহরের নির্ধারিত রুটের দু’দিকে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় জমে। শুধু রাস্তার দু’ধারে নয়, বাড়ির ছাদ, বহুতলের বারান্দাতেও থিকথিকে ভিড়। সেই ভিড়কে সাক্ষী রেখেই মুখ্যমন্ত্রী পায়ে হেঁটে শহরের সুপার মার্কেট মোড়, পোস্টঅফিস মোড়, চৌরঙ্গী মোড়, রূপশ্রী বাইপাস এবং মেচেদা বাইপাস হয়ে স্টেশন যাওয়ার রাস্তায় কর্মসূচি শেষ করেন। প্রতিটি জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য অজস্র মানুষের ভিড়। দড়ি ঠেলে একটু ছোঁয়ার মরিয়া চেষ্টা। কিন্তু, পুলিসের কড়াকড়িতে সেটা সম্ভব হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে দেখে আপ্লুত মাজিলাপুরের আরতি মণ্ডল, সুলেখা পড়িয়া। মোবাইলে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি তুলে সেই মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রেখেছেন।
এদিনের রোড শো ঘিরে দীঘাগামী জাতীয় সড়কে বেশ কিছুক্ষণ নো এন্ট্রি করে দেওয়া হয়। ধামসা, মাদল আর উলুধ্বনির তালে তালে রোড শো যত এগিয়েছে, ততই স্বতঃস্ফূর্ত উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। রাস্তার দু’দিকে উপস্থিত মানুষজনের হাতে প্ল্যাকার্ড ছিল। আবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে মহিলাদের অনেকে রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রকল্পের টাকা বাড়ানোর জন্য তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানান। ছাত্র-যুব থেকে বয়স্ক সব বয়সের মানুষজন এদিনের কর্মসূচিতে শামিল হন। তাঁরা উত্তম বারিকের পাশে থাকার আস্থা জোগান। এদিনের কর্মসূচির সাড়া দেখে সন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী হাত নেড়ে ধন্যবাদ জানান।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কাঁথি লোকসভার দলীয় প্রার্থী উত্তম বারিক, প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী ও তরুণকুমার মাইতি, প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর সহ আরও অনেকে ছিলেন। কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট প্রচারে দলের মধ্যে ঐক্যের চেহারা সেভাবে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে কর্মীদের অভিযোগ ছিল। দেশপ্রাণ, রামনগর সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় এনিয়ে সমস্যা ছিল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেককে এক সুতোয় বেঁধে রোড শো করেন। কাঁথি লোকসভা তাঁর চাই বলে আগেই টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন। তারপর এদিনের রোড শোয়ে উপচে পড়া ভিড় দেখে সন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী। ২০২১ সালে কাঁথি উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভা তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে। তাই বিজেপিকে জবাব দিতে এটাই উপযুক্ত সময় বলে তিনি কাঁথি সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সাফ জানিয়েছেন।
কাঁথির কর্মসূচি শেষ করে এগরায় সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মেদিনীপুর লোকসভার অন্তর্গত এগরায় জুন মালিয়ার সমর্থনে সেই সভাতেও উপচে পড়া ভিড় ছিল। এদিন তিনটি কর্মসূচিতে ভিড়ের বহর দেখে খুশি মুখ্যমন্ত্রী। একই দিনে জেলায় তিন জায়গায় ভিড় টানার পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হতে পেরে খুশি তৃণমূল নেতারাও। পাশাপাশি উজ্জীবিত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।-নিজস্ব চিত্র