সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
কাটোয়া থেকে কেতুগ্রাম-২ নম্বর ব্লকের বেশিরভাগ গ্রামেই যাতায়াত করতে হয় শাঁখাই ফেরিঘাট দিয়ে। বছর খানেক আগে শাঁখাইয়ের স্থায়ী ফেরিঘাটটি জলের তোড়ে ভেঙে যায়। আর নতুন করে সেটি তৈরি হয়নি। পাশেই বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী ফেরিঘাট তৈরি করেছেন নৌচালকরা। সেই নড়বড়ে বাঁশের কাঠামো পেরিয়েই যাত্রীদের নৌকায় উঠতে হয়। বর্ষায় এলাকাটি কাদায় ভরে যায়। সেই কাদা মাড়িয়েই যাত্রীদের নৌকায় উঠতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখান দিয়ে দিনভর অনেক যাত্রী পারাপার করেন। অথচ আজও স্থায়ী ফেরিঘাট তৈরি হল না।
কেতুগ্রামের বাসিন্দা পলাশ হাজরা, রানা সরকার, বলেন, আমরা রোজ কাদা মাড়িয়েই নৌকায় উঠি। বিশেষ প্রয়োজনে ছেলেমেয়েদের নিয়ে ওই বাঁশের কাঠামোয় উঠলেই নড়বড় করে। যে কোনও সময় বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে। এনিয়ে আগেই মহকুমা শাসককে জানিয়েছি। তিনি আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখন বর্ষায় ভাগীরথীতে জল বাড়ছে। প্রতিনিয়ত পাড় ভাঙছে। মোটর বাইক নিয়ে নৌকায় পারাপার করা খুব কঠিন। আগের ফেরিঘাট তৈরিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছিল। তাছাড়া, ঢালাইয়ের নীচে মাটি ধসে গিয়েছিল। ফলে জলের তোড়ে কংক্রিটের ঢালাই টেকেনি। এবার অন্তত মজবুত করে স্থায়ী ঘাট বানাতে উদ্যোগী হোক প্রশাসন।
কেতুগ্রাম-২ নম্বর ব্লকের গঙ্গাটিকুরি, সীতাহাটি, উদ্ধারণপুর প্রভৃতি এলাকার বাসিন্দাদের কাজের জন্য দৈনিক কাটোয়া শহরে আসতে হয়। তাঁরা অনেকেই সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন। তখন পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়। কিছুদিন আগেই নৈহাটির এক যুবক ওই ফেরিঘাট থেকে পা হড়কে পড়ে গুরুতর জখম হন। এক নৌকাচালক বলেন, স্থায়ী ফেরিঘাট না থাকায় আমাদেরও প্রচণ্ড অসুবিধা হয়। যত্রতত্র নৌকা বাঁধতে হয়। বর্ষায় অনেক সময় বাঁশের কাঠামো ভেঙে পড়ে। অনেক দিন ধরে কংক্রিটের ফেরিঘাট তৈরি হবে বলে শুনছি। কিন্তু কবে হবে ভগবানই জানেন!