সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
এই এক বছরের মধ্যে শহিদকে ভুলে যায়নি কেউ। তার পরিবারের এই অভাবনীয় ক্ষতির জন্য অসময়ে পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল রাজ্য সরকার। শহিদকে স্মরণে রাখতে এই বেলঘড়িয়া গ্রাম এক বছরে বহু পরিবর্তন দেখতে পেয়েছে। জাতীয় সড়ক থেকে গ্রামে ঢোকার মুখে রাস্তাটি ছিল কাঁচা। কফিনবন্দি রাজেশ ওরাং কাঁচা রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরলেও বর্তমানে সেই রাস্তা পাকা করে দিয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। সেইসঙ্গে রাজেশ ওরাংয়ের সমাধিটিকে পোক্তভাবে বাঁধানোর পর সেখানে শহিদের একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে এই গ্রামের মানুষ পানীয় জলের সঙ্কটে ভুগছিলেন।
বর্তমানে বিধায়কের উদ্যোগে গ্রামে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। এছাড়া বেলঘড়িয়ার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে রাজেশ ওরাংয়ের নামে নামাঙ্কিত করার কথা শোনা যাচ্ছে। আর সেই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওরাং পরিবারের একমাত্র রোজগেরে মানুষকে হারানোর জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা এবং রাজেশের বোন শকুন্তলা ওরাংকে করণিক পদে একটি সরকারি চাকরি দেন। অন্যদিকে, শহিদের মৃত্যুর দিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে গ্রামে উপস্থিত হয়েছিলেন অগণিত মানুষ। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শাসক-বিরোধী একাধিক দলের নেতা-নেত্রীরা।
পরে রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ওরাং পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গ্রামে যান। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সোমবার এক বছরের বার্ষিকী ক্ষুদ্র অনুষ্ঠানে শহিদের পরিবারের পাশে কোনও বিরোধীদলের নেতা-নেত্রীকে ভিড়তে দেখা যায়নি। এমনকী ফোন করেও বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব শহিদের পরিবারের খবর নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি। শুধুমাত্র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সাঁইথিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নীলাবতি সাহা। তিনি সোমবার বেলা ১১ টায় শহিদের গ্রামে গিয়ে পৌঁছন। সেখানে শহিদবেদীতে মাল্যদান করার পাশাপাশি শহিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। সেই সঙ্গে সমাধিস্থলে একটি আমের গাছও লাগান তিনি। তিনি বলেন, দেশ রক্ষা করতে গিয়ে আমাদের একজন বীর জওয়ান রাজেশ ওরাং শহিদ হয়েছিলেন গতবছর। রাজ্য সরকারের তরফে যথাসম্ভব চেষ্টা করা হয়েছে শহিদ পরিবারের পাশে থাকার। আমরা আজও আছি এবং আগামী দিনেও থাকবে শহিদ পরিবারের পাশে।