কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
মুরারই থেকে সড়কপথে রাজগ্রাম, পলশা সহ ঝাড়খণ্ডে যাওয়ার জন্য বাঁশলৈ গ্রামের কাছে রেলের আন্ডারপাস দিয়ে রাস্তা করা হয়। বহু বছর থেকে সংকীর্ণ ওই আন্ডারপাস পেরিয়েই দুই রাজ্যের মানুষ সহ যানবাহন চলাচল করে আসছে। যদিও যানজট নিত্যসঙ্গী। ফি বছর বর্ষায় আন্ডারপাসে কয়েক ফুট উঁচু জল দাঁড়িয়ে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ত। সমস্যার কথা তুলে ধরে রেলের কাছে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানান এলাকারবাসী থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই আবেদনে সাড়া দেয় রেল। সেই কাজের জন্য হাওড়া ডিভিশন বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপলাইনে মুরারই এবং বাঁশলৈ স্টেশনের মাঝে আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য এদিন ১৩ঘণ্টা ৪৫মিনিট বেশকিছু ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি দেয়। এছাড়াও বেশকিছু ট্রেনের গতিপথ পরিবর্তন করা হয়।
সকাল থেকে রেলের ডিডিশনাল ইঞ্জিনয়ার একে মণ্ডলের উপস্থিতিতে আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ শুরু হয়। আপ এবং ডাউন দু’টি আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য রেললাইনের তলা থেকে যন্ত্রের সাহায্যে মাটি কাটা শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৩টে পর্যন্ত সবকিছু ঠিক ছিল। স্লাব সেটিং চলছিল। সেই সময় দু’দিকেই ধস নামা শুরু হয়। বেগতিক বুঝে রেললাইনের উপর থেকে দু’টি ক্রেনই পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ফলে, আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ বন্ধ রেখে ধস নামা এলাকায় ফিলিং করার কাজ শুরু হয়।
যদিও এনিয়ে ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার কিছু বলতে চাননি। তবে উপস্থিত তৃণমূলের মুরারই-১ ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ বলেন, স্বপ্ন পূরণের দোরগোরায় এসেও সব মাটি হয়ে গেল। ধস নামার কারণে আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ স্থগিত রাখল রেল। কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদার কলিমুদ্দিন বলেন, ডিআরএম হাওড়ায় ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেবেন কীভাবে এই কাজ করা যাবে। আপাতত ফিলিং করে ট্রেন চলাচল করার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।