উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
১৮৫৫সালে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তৎকালীন বর্ধমানে কর্মরত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ভগবানচন্দ্র বসু ব্রাহ্ম বালক বিদ্যালয় গড়ে তোলেন। বর্ধমানের মহারাজ স্কুলের যাবতীয় খরচ বহন করতেন। কিন্তু, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে বর্ধমানের মহারাজার মন কষাকষির জেরে ১৮৮৩সাল নাগাদ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে আসে ওই স্কুল। নাম বদলে হয় বর্ধমান হায়ার ইংলিশ স্কুল। পরবর্তীতে বর্ধমান পুরসভা স্কুল পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে। সরকারিভাবে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল বয়েজ স্কুলের পথচলা শুরু ১৮৮৩সালে।
বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল বয়েজ হাইস্কুল থেকে এবার সুক্রিয় চক্রবর্তী তৃতীয়, পুষ্পেুন্দু খাঁ পঞ্চম, দেবজ্যোতি পাল অষ্টম এবং সাগর চন্দ্র দশম হয়েছেন। এবার মোট ২৯৯জন পড়ুয়া ওই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে বসেছিলেন। পাশ করেছেন ২৯৪জন। ৯০শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন ৪৬জন। ৬০শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন ২৭৫জন। উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হলেই বর্ধমান শহর তথা গোটা জেলার নজর থাকে এই স্কুলের দিকে। তার অন্যতম কারণ, সাফল্যের নিরিখে গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতা। ২০১৮সালে মাধ্যমিকে সপ্তম স্থান পায় দেবাঞ্জন ভট্টাচার্য। গত বছর উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্য মেধা তালিকায় ওই স্কুলে তৃতীয় হন তিমিরবরণ দাস, চতুর্থ হন অর্কদীপ গুঁইন এবং নবম স্থান দখল করেন অভীক ঘোষ। পর পর দু’বছর মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান দখল করল মিউনিসিপ্যাল বয়েজ হাইস্কুলের ছাত্র। এদিন ফল প্রকাশের পর স্কুলের এক সহ শিক্ষক প্রধান শিক্ষক ডঃ শম্ভুনাথ চক্রবর্তীর ঘরে ঢুকে মজা করে বলেন, স্যার উচ্চ মাধ্যমিকে মেধা তালিকার তৃতীয় স্থানটা আমাদের স্কুলের হাতেই থাকবে।
২০১৭সালে ওই স্কুল থেকে মাধ্যমিকে নবম স্থান পান শেখ আফ্রিদি এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ষষ্ঠ স্থানলাভ করেন অখিল নন্দী। ২০১৬সালে উচ্চ মাধ্যমিকে নবম স্থান লাভ করেন শুভ্রজ্যোতি নন্দী। ওই স্কুলের অনেক মেধাবী প্রাক্তনী আইআইটি, আইআইএম, এইমস সহ দেশের নামীদামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সসম্মানে উত্তীর্ণ। প্রধান শিক্ষক বলেন, একাদশ শ্রেণীতে ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই আমরা ভর্তি হওয়া সকল ছাত্রকে নিয়ে কাউন্সেলিং করাই। ক্লাসে একজন ছাত্র থাকলেও ক্লাস নেন শিক্ষক। স্কুলে হাজিরা ৭০শতাংশ দিতে হবে বলে ছাত্র এবং অভিভাবকের কাছ থেকে হলফনামা নেওয়া হয়।