উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
যদিও এই নিয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি (সদর) অরূপ রায় বলেন, খারাপ ফল হওয়ায় আমরা তা পর্যালোচনা করেছি। তবে আমাদের প্রার্থী ২০১৪ সালের তুলনায় বেশি ভোট পেয়েছেন। এখানে সিপিএমের ভোট সম্পূর্ণভাবে বিজেপি পাওয়ায় মার্জিন কিছুটা কমেছে। আর পুরসভা ভোট কবে হবে, তা রাজ্য সরকার ঠিক করবে। তবে, লোকসভা ভোট ও পুরসভা ভোটের প্রেক্ষিত সম্পূর্ণ পৃথক। পুরসভার ভোট যখনই হোক, আমরা বিপুলভাবে জয়ী হব। যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেছেন, পুরসভা হাতছাড়া হবে, এই ভয়েই নির্দিষ্ট সময়ে তৃণমূল পুরসভার ভোট করেনি। তবে তৃণমূল আর কোনওভাবেই পুরসভার দখল নিতে পারবে না। পুরসভা ভোটে আমরাই জয়ী হব।
হাওড়া শহরে বিজেপির উত্থানে চিন্তিত তৃণমূল নেতৃত্ব। উত্তর হাওড়ায় ছ’টি, মধ্য হাওড়ায় চারটি, শিবপুরে পাঁচটি ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। বালি ও দক্ষিণ হাওড়াতেও বেশ কিছু ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে পড়েছে। বিদায়ী বোর্ডের মেয়র রথীন চক্রবর্তীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে মাত্র ১৩৪ ভোটে তৃণমূল লিড নিয়ে মান রাখতে পেরেছে। কিন্তু, শহরের ৬৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে অধিকাংশেই তৃণমূলের মার্জিন খুব বেশি নয়। বরং উত্তর হাওড়ার একাধিক ওয়ার্ডে তিন থেকে পাঁচ হাজারেরও বেশি ভোটে বিজেপি এগিয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় পুরসভা ভোট হলে, হাওড়া পুরসভা তৃণমূলের দখলে থাকবে কি না, তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার এখনই পুরসভা ভোট করিয়ে নিতে চাইবে, নাকি ড্যামেজ কন্ট্রোলের পর আগামী বছর রাজ্যের আরও ৮২টি পুরসভার সঙ্গে এই পুরসভার ভোট করবে, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সাধারণ মানুষ মনে করছে, নির্দিষ্ট সময়ে ভোট না হওয়ায় তৃণমূলের উপর শহরবাসীর একাংশ বিরক্ত। তার প্রতিফলন এই ভোটে পড়েছে। তাছাড়া অবাঙালি ভোটব্যাঙ্কও তৃণমূল ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই অবাঙালি এলাকায় তৃণমূল হেরে গিয়েছে।
তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আগামী এক বছর ড্যামেজ কন্ট্রোল করে আগামী বছর রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলির সঙ্গেই হাওড়ায় ভোট করাতে পারে রাজ্য সরকার। সেই সম্ভাবনাই বেশি। তবে এক বছর বাদে পুর ভোট হলে নাগরিক পরিষেবা যে পর্যাপ্ত মিলবে না, তা বিলক্ষণ জানেন শহরবাসী। স্বাভাবিকভাবেই এনিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।