উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
কেএমডিএ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এব্যাপারে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের প্রধান সচিব সুব্রত গুপ্ত রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে’কে চিঠি দিয়েছেন। তাতে তিনি মুখ্যসচিবের কাছে দ্রুত অনুমতি চেয়েছেন। সেই বিষয়টি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, হয় স্তম্ভগুলি রেখে সেটির উপরে উড়ালপুলের অংশটি পুনর্নির্মাণ করা হবে, নয়তো পুরোটাই ভেঙে ফেলা হবে। এব্যাপারে আমরা দ্রুত অনুমতি চেয়েছি।
উড়ালপুলটিকে পুরোপুরি ভেঙে ফেলতে হবে, নাকি ক্ষতিগ্রস্ত অংশ নতুন করে তৈরি করা হবে, তা জানতে খড়্গপুর আইআইটিকে দিয়ে ওই সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, শেষপর্যন্ত খড়্গপুর আইআইটি রাজ্যকে জানিয়েছিল, ভাঙা বা গড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকেই। আইআইটির বিশেষজ্ঞরা সুনির্দিষ্ট কোনও সমাধানসূত্র দেননি। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অন্য কোনও বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে ফের সমীক্ষা করাতে চেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু সেই সংস্থাকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি প্রশাসন। পূর্ত দপ্তরের এই গড়িমসিতে ক্ষুব্ধ পুরমন্ত্রী।
এদিন বৈঠকের পর কেএমডিএ’র কর্তারা বলেন, উড়ালপুলের যা অবস্থা, তাতে সেটি ভেঙে ফেলা খুব মুশকিল। কারণ, খুব সঙ্কীর্ণ পরিসরে উড়ালপুল ভাঙতে গেলে যে কম্পন হবে, তা আশপাশের বাড়িগুলিতে প্রভাব ফেলবে। কারণ, ওই এলাকায় জরাজীর্ণ বাড়ির সংখ্যা প্রচুর। ন্যূনতম কম্পনও সহ্য করতে পারবে না সেগুলি। দ্বিতীয়ত, নতুন করে নির্মাণকাজ হলেও তা অত্যন্ত সাবধানে করতে হবে। আনতে হবে আধুনিক যন্ত্রপাতি, যাতে কোনও অঘটন না ঘটে। সর্বোপরি, নতুন নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি এবং স্থায়িত্ব নিয়ে নিশ্চিত হতে হবে। মন্ত্রী বলেন, ভেবেচিন্তেই আমরা কাজ শুরু করতে চাই। এভাবে দিনের পর দিন চলতে পারে না।
এদিন পোস্তা উড়ালপুলের পাশাপাশি শহরের বেশ কয়েকটি প্রস্তাবিত উড়ালপুল নিয়েও আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, মা উড়ালপুলের সম্প্রসারণ, ব্রেসব্রিজ থেকে গার্ডেনরিচ পর্যন্ত নয়া উড়ালপুল সহ একাধিক বিষয়ে বৈঠক হয়েছে। গত দু’মাসে বৈঠক হয়নি। বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের নিয়ে এদিন বিস্তারিত বৈঠক হয়েছে।