উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
২০১৪ সালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত, বনগাঁ, বসিরহাট, দমদম ও বারাকপুর মিলিয়ে পাঁচটিতেই জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। এবার বারাকপুর ও বনগাঁ হাতছাড়া হয়েছে। বারাসত লোকসভায় তৃণমূল জয়ী হলেও খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাবড়া এবং দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর বিধাননগরে লিড পেয়েছে বিজেপি। এদিন মধ্যমগ্রাম পার্টি অফিসে জেলার কোর কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। মূলত বারাকপুর এবং বনগাঁর নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দলের নেতাদের ঔদ্ধত্য নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন খাদ্যমন্ত্রী। সকলকে সচেতনও করেন। বারাকপুরের গণ্ডগোল ও পার্টি অফিস দখল নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে বিধায়ক সুনীল সিং সাংগঠনিক ক্ষমতা বাড়ানোর দাবি করেন। তারপরই তাঁকে নতুন পদ ও সাংগঠনিক ক্ষমতা বাড়ানো হয়।
জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, আমরা সবাইকে বলেছি, মানুষের কাছে ঔদ্ধত্য দেখালে চলবে না। জনগণই হল দেবতা। তাঁদের কাছে মাথা নত করে চলতে হবে। আমি হাবড়া থেকে দু’বার জয়ী হয়েছি। কিন্তু, এই লোকসভায় সেখানকার মানুষ আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে দিয়েছে। হয়ত আমি কিছু ভুল করেছি। ভুলের জন্য সবার কাছে গিয়ে প্রয়োজনে পায়ে ধরে ক্ষমাও চাইব। হাবড়ার মানুষের প্রতি রাগ করিনি। তবে, অভিমান করেছি। ২৩ মে’র পর থেকে কোনও রাতে আমি ঘুমোতে পর্যন্ত পারছি না। আমাদের সরকার প্রচুর উন্নয়ন করেছে। তবুও মানুষ কেন সরে গেলেন তা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।
তিনি বলেন, বারাকপুরে ২০০টি পার্টি অফিস দখল হয়ে গিয়েছিল। ৪০টি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। বারাকপুরের জন্য সুজিত বসু, ব্রাত্য বসু, পূর্ণেন্দু বসু, তাপস রায়, নির্মল ঘোষ, পার্থ ভৌমিক, নারায়ণ গোস্বামী, রথীন ঘোষ, মদন মিত্র, কৃষ্ণগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ১০ জনের একটি কমিটি করা হয়েছে। বাকি ১৬০ পার্টি অফিস কীভাবে পুনরুদ্ধার করা হবে তা নিয়ে আজ, বুধবার ওই ১০ জনের কমিটি একটি বৈঠকে বসবেন। সেখানে আগামীদিনের দলীয় কর্মসূচিও ঠিক হবে।