উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
মুখ্য সরকারি আইনজীবী অরূপ চক্রবর্তী জানান, স্বামী স্ত্রীর বিচ্ছেদের পর ওই বালক প্রথমে কিছুদিন তার মায়ের কাছেই ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময় ওই মহিলা তাঁর সন্তানকে স্বামীর কাছে রেখে আসেন। নারকেলডাঙার এপিসি রোডের বাসিন্দা বিবাহ বিচ্ছিন্না ওই গৃহবধূর স্বামী যে বাড়িতে থাকতেন, সেখানে পিসির সঙ্গে থাকত ছোট্ট ওই ভাইপো। অভিযোগ, কয়েকদিন আগে ভাইপো দুষ্টমি করলে পিসি লোহার খুন্তি গরম করে তা দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ছ্যাঁকা দেয়। যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকে বালকটি। স্থানীয় মানুষজন এসে বালকটিকে উদ্ধার করে এনআরএসে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। খবর পেয়ে তার মা পুলিসে লিখিত অভিযোগ জানান। এরপরই পুলিস অভিযুক্ত পিসির বিরুদ্ধে মারধর ও জুভেনাইল আইনের নির্দিষ্ট ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এদিনই আদালতে মামলাটি উঠলে সরকারি আইনজীবী ধৃতের জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, ওই মহিলা যে কাজ করেছেন, তা এক কথায় ক্ষমার অযোগ্য। কোনও শিশু দুষ্টুমি করতেই পারে। তার জন্য এরকম কোনও শাস্তি হতে পারে না। এভাবে যে কোনও বালকের উপর নির্যাতন চালানো যায়, তা ভাবলে অবশ্যই শিহরিত হতে হয়। মামলার গুরুত্ব অনুধাবন করে ধৃতের জামিন বাতিল করা হোক। অন্যদিকে, ধৃতের আইনজীবী বলেন, পুলিস বিষয়টি অহেতুক বড় করে দেখাচ্ছে। কোনওভাবে হয়ত একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। তাই যে কোনও শর্তে আমার মক্কেলকে জামিন দেওয়া হোক। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক ধৃতের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে আক্রান্ত ওই বালকটিকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির (সিডব্লুসি) কাছে হাজির করা হয়। ওই কমিটিও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।