বিএনএ, আসানসোল: সোমবার রাতে দুর্গাপুরের আট নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের একটি পার্টি অফিসে বিজেপির হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বেধে যায়। ওই রাতে বিজেপি বিজয় মিছিল করার নামে ওই পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর করে। পরে তৃণমূলও ওই এলাকায় বিজেপির একটি পার্টি অফিস এবং ক্লাবে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপি সেই ঘটনার প্রতিবাদের মঙ্গলবার হস্টেল অ্যাভিনিউ থেকে বি-জোন পর্যন্ত মিছিল করে। তারা এ-জোন ফাঁড়িতে বিক্ষোভও দেখায়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মিছিল ঘিরে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। তৃণমূলও বিকেলের দিকে হস্টেল অ্যাভিনিউ পাঁচ মাথা মোড়ে প্রতিবাদ সভা করেছে।
অন্যদিকে এদিন লাউদোহাতেও উত্তেজনা ছড়ায়। বিজয় মিছিল করার জন্য জোর করে চাঁদা তোলার অভিযোগে ওই থানা এলাকার ঝানজিরা গ্রামের এক বিজেপি কর্মীকে লাউদোহা থানার পুলিস আটক করে। তার প্রতিবাদে বিজেপি থানায় বিক্ষোভ দেখায়। তাদের দাবি, পুলিস তৃণমূলের মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের কর্মীকে আটক করে। তৃণমূল অবশ্য তাদের অভিযোগে অনড় থাকে।
রাজ্যের শাসক দলের দাবি, ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই বিজেপি দুর্গাপুর মহকুমায় দাদাগিরি শুরু করেছে। মূলত সিপিএম থেকে গেরুয়া শিবিরে আসা লোকজনরাই অশান্তি পাকাচ্ছে। বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, তৃণমূলই অশান্তি করছে। সোমবার রাতে ওদের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি আসানসোল থেকে লোকজন নিয়ে এসে আমাদের একটি কার্যালয় এবং একটি ক্লাবে ভাঙচুর করে। আমাদের কর্মীদেরও মারধর করা হয়েছে। জেলা সভাপতি সহ অন্যান্য অভিযুক্ত নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরা থানায় স্মারকলিপি দিয়েছি।
যদিও জিতেন্দ্রবাবু বলেন, ওরাই আগে আমাদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর করেছে। আমাদের অফিস ভাঙলে বিজেপিকে ওদের ভাষাতে জবাব দেওয়া হবে। তবে আগে থেকে আমরা কিছু করব না। কিন্তু ওরা গণ্ডগোল করলে আমরা চুপচাপ বসে থাকব না। পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। ওদের বিজয় মিছিল করতে তো আমরা কোথাও বাধা দিইনি। তারপরেও গণ্ডগোল পাকালে আমরা ছাড়ব না।