উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বিজেপির জেলা সহসভাপতি তথা রামপুরহাট পুরসভার বিরোধী দলনেতা শুভাশিস চৌধুরী বলেন, নরেন্দ্র মোদি দেশবাসীর মঙ্গল করার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন। তাই তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করার জন্যই এই মহাযজ্ঞের আয়োজন। এর আগে তাঁর জন্য এমন আয়োজন হয়নি।
তারাপীঠ রাজনীতির ঊর্ধ্বে। তারাপীঠে এসে নিজের ও পরিবারের এমনকী অনেক সময়ে দলের মঙ্গল কামনায় পুজো দেন সব দলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক সংসদ সদস্যরাই। বাদ যান না চিত্রতারকা, ক্রিকেটাররাও। নেতা মন্ত্রীদের জন্য হোম যজ্ঞও হয়েছে, ভোটের আগেই পুজো দিয়ে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এবার বাদ গেলেন না নরেন্দ্র মোদিও। না প্রধানমন্ত্রী সশরীরে এখানে না এলেও তাঁর অনুগামীরা তাঁর মঙ্গল কামনায় বিশাল যজ্ঞের আয়োজন করেছে। তাও আবার তাঁর শপথ গ্রহণের দিনই। কিন্তু কেন এই দিনটি বেছে নেওয়া হল? উদ্যোক্তদের দাবি, এদিন থেকেই দ্বিতীয় ইনিংস শুধু করছেন তিনি তাই প্রথমেই শুভকামনা করা ও মায়ের আশীর্বাদ নেওয়া। জানা গিয়েছে, সারাদিনই মোদিময় থাকবে তারাপীঠ। সকালে তারাপীঠে মায়ের শীতলভোগ হয়। সেই ছোলাভেজা, পাঁচ রকমের ফল ও মিষ্টি নরেন্দ্র মোদির নামেই তারামাকে অর্পণ করা হবে। যজ্ঞে থাকবে পর্যাপ্ত ফুল, মালা। হোম যজ্ঞের জন্য পর্যাপ্ত কাঠ ও ঘিয়ের জোগাড়ও হচ্ছে। তিনঘণ্টা ধরে যজ্ঞ চলার পর বেলা ১২টার সময়ে মায়ের অন্ন ভোগ হবে। তখন মোদিজির নামে মায়ের কাছে পোলাও, দুটি সবজি, পাঁচ রকমের ভাজা, মাছ, চাটনি, পায়েস নিবেদন করা হবে। পরে প্রসাদ পাবেন দু’শো জন ভক্ত। এরপরেও সন্ধ্যার সময়েও তারামাকে মোদিজির নামেই ভোগ নিবেদন করা হবে। সেখানে লুচি, মিষ্টি, সুজির সঙ্গেও পাঁচ রকমের ভাজা থাকবে। পুরো বিষয়টি দেখভাল করছেন মন্দিরের পাঁচ সেবাইত নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্যামচরণ মুখোপাধ্যায়, বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়, বামাচরণ মুখোপাধ্যায় ও পুলক চট্টোপাধ্যায়। একদিন আগে থেকেই তাঁরা আয়োজনে ব্যস্ত। এনারাই অমিত শাহর পুজোর ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিলেন। নিখিলবাবু বলেন, আমরা চাই নরেন্দ্র মোদি দীর্ঘ জীবন লাভ করুন। তিনি যেন শক্তিশালী ভারত গড়তে পারেন। সেই উদ্দেশ্যেই এই মহাযজ্ঞ। তবে আমরা সবাই চাই নরেন্দ্র মোদি যেন একবার তারাপীঠে আসেন।