উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
মানসবাবু বলেন, ভোটের দিন রাত থেকে এই সব এলাকায় ময়না থেকে বিজেপি দুষ্কৃতীরা ও তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সিপিএমের হার্মাদরা সন্ত্রাস চালাচ্ছে। কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট করা হচ্ছে। পার্টি অফিসে হামলা হয়েছে। কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। বোমাবাজি হচ্ছে। এলাকাকে এমনভাবে সন্ত্রস্ত করে রাখা হয়েছে, মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। তিনি বলেন, এদিন মন্ত্রী সহ আমরা নির্যাতিত বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছি। কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমরা পুলিসকে বলেছি, এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।
এদিন প্রতিনিধিদলে অবশ্য তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতি, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি ছিলেন না। প্রভাতবাবু বলেন, আমাদের আগে থেকেই ব্লক কমিটির মিটিং ডাকা ছিল।
বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, এই সব ঘটনার সঙ্গে বিজেপি কর্মীরা কোনওভাবেই যুক্ত নয়। তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর লড়াই। বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
অন্যদিকে, এদিনই দাঁতন বিধানসভা কেন্দ্রের মোহনপুর ব্লকের মোহনপুর, সাউটিয়া, কুড়কুড়িয়া, পদিমা গ্রাম পরিদর্শন করে প্রতিনিধি দলটি। অভিযোগ, এই সব গ্রামে বিজেপি ও সিপিএম হার্মাদরা তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা করছে। বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে মোহনপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি প্রদীপ পাত্রের উপরও হামলা হয়। অভিযোগ তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
দাঁতনের বিধায়ক বিক্রম প্রধান বলেন, গত কয়েক দিন ধরে এই সব গ্রামে সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিজেপি। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সিপিএমের হার্মাদরা। কর্মীদের ধমক চমক দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। কর্মীদের দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। একটি পার্টি অফিসও ভাঙচুর করা হয়। এদিন প্রতিনিধি দলটি এলাকায় গিয়ে দলের কর্মী ও বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে। গ্রামগুলি পরিদর্শন করে।
বিজেপির জেলা সহ সভাপতি শক্তি নায়েক বলেন, কোথাও কোনও সন্ত্রাস হয়নি। ওরা মনে মনে যদি ভাবে সন্ত্রাস, তাহলে কী করার আছে? তিনি বলেন, যদি সন্ত্রাস হতো তাহলে ওরা কি এদিন শান্তিতে এলাকায় ঘুরতে পারত?