উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী তপন রায় বলেন, ২০০৬ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা বিভার (২০) সঙ্গে বিয়ে হয় বারুইপুরের মন্টুর। বিয়ের পর থেকেই নির্যাতন চলে ওই গৃহবধূর উপর। এদিকে, এরই মধ্যে স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে মন্টু। তা জেনে যাওয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে তার তীব্র অশান্তি হয়। জানা গিয়েছে, বিভাদেবীকে বেশ কয়েকবার মারধরও করা হয়েছে। একইসঙ্গে চলে মানসিক নির্যাতন। এদিকে, পরকীয়া নিয়ে অশান্তি যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, তখন ‘পথের কাঁটা’ হিসেবে স্ত্রীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষে মন্টু। এমনকী যার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল, তার সঙ্গেই পাকাপাকিভাবে সংসার পাতার পরিকল্পনা ছিল মন্টুর।
সরকারি আইনজীবী জানান, ২০০৯ সালের ২১ ডিসেম্বর শীতের রাতে ন’ মাসের গর্ভবতী ওই গৃহবধূকে বাপের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয় মন্টু। এরপর স্ত্রীকে এক অন্ধকার, নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। এরপর মৃতদেহটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার উদয়নারায়ণপুরে রেল লাইনের ধারে ফেলে রেখে চম্পট দেয়। ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর স্থানীয় মানুষ রেল পুলিসকে খবর দেয়। রেলপুলিস এসে গৃহবধূর নিথর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে আসে, গৃহবধূকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে মৃতার বাড়ির লোকজন এসে মৃতদেহ শনাক্ত করে। বিভাদেবীর ভাই বারুইপুর জিআরপিতে এফআইআর দায়ের করেন। পুলিস বধূ নির্যাতন এবং হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে। গ্রেপ্তার করা হয় স্বামী সহ ছ’ অভিযুক্তকে। পরবর্তী সময় অবশ্য ধৃতরা আদালত থেকে জামিন পায়। মঙ্গলবার আদালত এই মামলায় তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করে ওই সাজা ঘোষণা করে।