উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
গত দুদিন ধরেই হালিশহর, কাঁচরাপাড়া, নৈহাটি পুরসভা এলাকা জুড়ে তৃণমূল কাউন্সিলারদের ঘর ভাঙানো নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। দেখা যায়, তিনটি পুরসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলার বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ের হাত ধরে দিল্লিতে রওনা দেন। মঙ্গলবার দুপুরে দিল্লিতে কাউন্সিলারদের যোগদান ছিল। কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান সুদামা রায় সহ বেশ কয়েকজন এখনও তৃণমূলে রয়েছেন। এদিন চেয়ারম্যান পুরসভায় নিজের চেম্বারে বসেই টিভিতে দলীয় কাউন্সিলারদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার অনুষ্ঠান দেখছিলেন। সুদামা রায় বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান সহ অধিকাংশ কাউন্সিলার চলে গিয়েছেন। কয়েকজন আমরা বাকি রয়েছি। এখন ওরা ফিরে আসার পর চাপ আসলে চিন্তাভাবনা করব। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, শুধু কাঁচরাপাড়া নয়, আশপাশে আরও তিনটি পুরসভাও বিজেপি দখল নিতে চলেছে। হালিশহরের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সহ ১৭ জন কাউন্সিলার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এখনও ৫ জন তৃণমূল কাউন্সিলার যোগ দেননি। এরমধ্যে কল্যাণী বিশ্বাস নামে এক তৃণমূল কাউন্সিলার বলেন, কেউ কেউ স্বার্থের জন্য, কাউকে আবার ভয় দেখিয়ে জোর করে নিয়ে গিয়েছে। তাদের মন থেকে তৃণমূলকে মুছে ফেলতে পারবে না। আমরা দলটাকে ভালোবাসি। তাই জোয়ারের জলে গা ভাসাতে চাইনি। বিজেপিতে যোগ দেওয়া হালিশহরের চেয়ারম্যান অংশুমান রায় বলেন, বিধায়কের নেতৃত্বের নির্বাচন অক্লান্ত পরিশ্রম করার পরও তাঁকে সাসপেন্ড করা হল। এটা হালিশহরের কর্মীরা মেনে নিতে পারেননি। আমাদের মনে হয়েছে, বিধায়কের সঙ্গে আমাদের সকলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আবার বারাকপুরের সংসদ সদস্য তথা ‘বাহুবলী’ বিজেপি নেতা অর্জুন সিং যে ভাটপাড়ার শেষ কথা তা ফের প্রমাণিত হল। ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা ভোটে পরাজিত হওয়ার পরও অর্জুন ফের সেই পুরবোর্ড পুনরুদ্ধার করতে চলেছেন। ৮ জন তৃণমূল কাউন্সিলারকে ভাঙিয়ে পুরবোর্ডে ফের সংখ্যাগরিষ্ঠ হল বিজেপি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিষয়ে অর্জুন বলেন, আগে তো ১১জন ছিলেন। এখন ৮ জন যোগ দিলেন। আগামীদিনে বাকিরাও যোগ দেবেন। ফলে, ভাটপাড়া পুরসভাও বিজেপির দখলে চলে এল। নৈহাটি পুরসভায় ৩১টি ওয়ার্ড রয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ২৯ জন কাউন্সিলার ওদের দলে যোগ দিয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, বহু কাউন্সিলারের কাছ থেকে আধার কার্ডের জেরক্স বিজেপি নিয়েছে। জেরক্স নেওয়া মানে বিজেপি হয়ে যাওয়া তা মানি না। কতজন দিল্লিতে গিয়ে যোগ দিয়েছেন জানি না। ফিরে আসার পর নিয়ম মেনে অনাস্থা আনবে। সেখানে কাউন্সিলাররা আমার পক্ষে না থাকলে আমি সরে যাব।