উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র অত্রি বিশ্বাস। ২০১৭ সালে মাধ্যমিকে মাত্র দুই নম্বরের জন্য রাজ্য মেধা তালিকায় ঠাঁই পাননি তিনি। এবার তিনি সকলকে চমকে দিলেন। ৪৯০ নম্বর পেয়ে তিনি উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যের মেধাতালিকায় ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছেন। তাঁর বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বর বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯৫, রসায়নে ৯৮, গণিতে ১০০, পদার্থবিজ্ঞানে ৯৭ ও জীবনবিজ্ঞানে ১০০। বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে একজন করে গৃহশিক্ষক ছিলেন। বাকি বিষয়গুলিতে ছিলেন দু’জন। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছেন। পড়ার জন্য আলাদা কোনও রুটিন ছিল না। যখনই ইচ্ছে হয়েছে, তখনই পড়েছেন তিনি। অবসর সময়ে তিনি গল্পের বই পড়তে ভালোবাসেন। তাঁর প্রিয় সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। গোয়েন্দা বইয়ের প্রতি তাঁর ঝোঁক রয়েছে।
অত্রি ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায়। ছোটবেলা থেকেই তাঁর ইচ্ছে মেডিক্যাল বিভাগে পড়াশোনা করার। এবছর তিনি জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা দিয়েছেন। পরীক্ষায় ফলাফল প্রকাশিত হলেই ভর্তি হবেন। অত্রি বললেন, জয়েন্টের পরীক্ষা ভালো হয়েছে। আশা করছি মেডিক্যাল বিভাগে র্যা ঙ্ক ভালো হবে।
ডাক্তার হতেই হবে, সেই ইচ্ছা অবশ্য চাপিয়ে দেননি অত্রির বাবা মা। দু’জনেই পেশায় শিক্ষক। বাবা গোপেন বিশ্বাস বীরনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভূগোলের শিক্ষক। আর মা জ্যোৎস্না বিশ্বাস স্বরূপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের জীববিদ্যার শিক্ষিকা। অত্রির দাদা অরণি গণিতে স্নাতকোত্তরে পড়াশোনা করছেন। গোপেনবাবুর আদিবাড়ি করিমপুরে। তবে বর্তমানে কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা। ছেলের রেজাল্ট জানতে পেরে বাড়িতে আসা অতিথিদের নিজের হাতে মিষ্টি বিলি করেন। তিনি বলেন, ছেলে প্রথম থেকেই মেধাবী। আমরা স্বামী স্ত্রী দু’জনেই স্কুলে চলে যেতাম। ও দিদিমার কাছে থাকত। আমরা ছেলের উপর কোনও কিছুই চাপিয়ে দিইনি। অত্রি নিজেরই ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা। আমার বড় ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং লাইনে গেল না। ও বলল, সাধারণ বিভাগেই পড়ব। আমরা বাধা দিইনি। ছেলের এই রেজাল্টে খুশি হয়েছি। ও ডাক্তার হয়ে সমাজের কাজ করুক। এটাই চাইব।
কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের উচ্চমাধ্যমিকে এবার নজর কাড়া সাফল্য। ১৬৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৬৩ জনই পাশ করেছে। রাজ্য মেধাতালিকায় ঋতম নাথ ও অত্রি বিশ্বাস স্থান অর্জন করেছে। এছাড়া, সায়ন রেজা ৪৮৪ ও শুভজিৎ ঘোষ ৪৮৪ নম্বর পেয়েছে। ৯০ শতাংশের বেশি ১৯ জন, ৮০ শতাংশের বেশি ৪৩ জন ও ৭৫ শতাংশের বেশি ৪৮ জন ছাত্র নম্বর পেয়েছে।