উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বহরমপুর শহরের ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকার বাসিন্দা তুষার রায় কেন্দ্রীয় রেশম শিল্প কেন্দ্রের বিহারের ভাগলপুরে কর্মরত। তাঁর স্ত্রী গীতাদেবী গৃহবধূ। এই দম্পতির দুই ছেলের মধ্যে তীর্থরাজ ছোট। তীর্থরাজ ওরফে পাপাই জগন্নাথ অ্যাকাডেমির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৯১ নম্বর (সেরা পাঁচটি বিষয়ে) পেয়ে তীর্থরাজ রাজ্যে পঞ্চম হয়েছেন। তিনি বাংলায় ৮১, ইংরেজিতে ৯৭, জীববিদ্যায় ৯৮, রসায়নে ৯৮, পদার্থবিদ্যায় ৯৯ এবং অঙ্কে ৯৯ নম্বর পেয়েছেন। মাধ্যমিকেও তিনি জগন্নাথ অ্যাকাডেমিতে পড়াশোনা করেছেন। সেবার তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৬২। এই স্কুলে তিনি গোয়েন্দা গল্পের বই পড়তে, ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসেন। তাঁর প্রিয় ক্রিকেটার ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। সিনেমা দেখতে ভালোবাসেন। হলিউডের সিনেমা তাঁর প্রিয়। তিনি বলেন, উচ্চমাধ্যমিকে ছ’জন শিক্ষক ছিলেন। এছাড়া, নিজে ৭-১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছি। উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্টে ৪২৯ নম্বর পেয়েছিলাম। এবার তা অনেকটাই বেড়েছে। গৃহশিক্ষকদের পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতায় এই সাফল্য পেয়েছি। আমার দাদা চিকিৎসক। আমিও চিকিৎসক হয়ে গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়াতে চাই। এজন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়েছি।
এবার রাজ্যে যুগ্মভাবে পঞ্চম হয়েছেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের আরএক ছাত্র প্রত্যয় দে। তাঁদের বাড়িও ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকায়। তাঁর বাবা প্রতাপচন্দ্র দে পেশায় শিক্ষক। কর্ণসুবর্ণ এলাকায় রাজা শশাঙ্ক বিদ্যাপীঠের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তিনি। তাঁর স্ত্রী সুখলতাদেবী গৃহবধূ। প্রত্যয় তাঁদের একামাত্র ছেলে। তীর্থরাজের মতো প্রত্যয়ও স্কুলের সেরা ছাত্র। পঞ্চম শ্রেণী থেকেই তিনি জগন্নাথ অ্যাকাডেমিতে পড়েন। মাধ্যমিকে ৬৫৯ নম্বর পেয়েছিলেন। উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। তিনি উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্টে পেয়েছিলেন ৪২৫নম্বর। এবার পেয়েছেন ৪৯১ নম্বর (সেরা পাঁচটি বিষয়ে)। এরমধ্যে বাংলায় ৭৬, ইংরেজিতে ৯৭, জীববিদ্যায় ৯৮, রসায়নে ১০০, পদার্থবিদ্যায় ৯৬ এবং অঙ্কে ১০০ নম্বর পেয়েছেন। পড়াশোনা ছাড়াও তিনি গোয়েন্দা গল্পের বই পড়তে এবং ফুটবল খেলতে ভালোবাসেন। তাঁর প্রিয় ফুটবলার রোনাল্ডো ও মেসি। ছ’জন শিক্ষকের কাছে পড়তেন। এর বাইরে টেস্টের পর দিনে ৬-৭ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করেছেন। তিনি বলেন, গৃহশিক্ষক ও স্কুলের শিক্ষকদের পাশাপাশি বাবা ও মা অনেক সহযোগিতা করেছেন। ভবিষ্যতে পদার্থবিদ্যা নিয়ে গবেষণা করতে চাই। তা না হলে চিকিৎসক হয়ে সমাজ সেবা করব। দুই কৃতী ছাত্রই বলেন, ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া ও গুগল থেকে পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেক সহায়তা পেয়েছি।