উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
সৌরভদের নিজেদের একটা ছোট মাটির বাড়ি ছিল। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় একটি পাকা বাড়ি ও বারান্দা হয়েছে। মাধ্যমিকে ৬১৮ নম্বর পেয়েছিলেন। তখন অবশ্য অঙ্ক ও ইংরাজিতে গৃহ শিক্ষক ছিল তাঁর। নিজেদের মাত্র এক বিঘা জমি আছে। বাবা লক্ষণ কাবাড়ি লোকের জমিতে ভাগ চাষ করে কোনওরকমে সংসার চালান। এই আর্থিক পরিস্থিতিতে কীভাবে ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন সফল হবে, সেটাই এখন সৌরভের সবচেয়ে বড় চিন্তা। তবে, আশার কথা শুনিয়েছেন রাজ্যসভার সদস্য মানস ভুঁইয়া। তিনি বলেন, আমি এবং বিধায়ক গীতারানি ভুঁইয়া ওর সমস্ত দায়িত্ব নিলাম। ও যতদূর পড়তে চায়, আমরা সবরকম সাহায্য করব। সোমবার সবং পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে ছাত্রটির বাড়িতে গিয়ে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়।
সৌরভের ইচ্ছে, ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে বিনা পয়সায় গরিব মানুষের সেবা করার। পাশাপাশি বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফোটানো। কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব, তিনি বুঝতে পারছেন না। সৌরভ বলেন, আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি নিজেই দিশাহারা। যখন সবাই মিলে সাহায্য করে এগিয়ে দেবেন, তখনই একটা রাস্তা পাব।
তিনি বলেন, গৃহশিক্ষক রাখার মতো অবস্থা আমার ছিল না। আমার স্কুলের শিক্ষকরাই সেই দায়িত্ব নেন। তাঁরা আমাকে পড়িয়েছেন, বই দিয়েছেন। এই ফল হওয়ার জন্য আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর মাইতি বলেন, ও খুবই গরিব বাড়ির ছেলে। ওর এই ফলে আমরা গর্বিত। ভবিষ্যতে ওর উচ্চশিক্ষার জন্য আমরা সবরকম সাহায্য করব।