উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
ভগবানপুর ১ ব্লকের কোটবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌদুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা তথা বাজকুল বলাইচাঁদ হাইস্কুলের ছাত্র তন্ময় মেইকাপ রাজ্যে দ্বিতীয় হয়েছেন। তার বাবা অসিত মেইকাপ গৃহশিক্ষক ও মা তনুশ্রী মেইকাপ গৃহবধূ। ৪৯৬ নম্বর পাওয়া তন্ময় অঙ্কে ১০০, রসায়নে ১০০, বায়োলজিতে ৯৯, পদার্থবিদ্যায় ৯৮ ও ইংরেজিতে ৯৯ পেয়েছেন। অবসর সময়ে ব্যাট হাতে মাঠে নেমে পড়া এই কৃতীর প্রিয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। আগামীদিনে চিকিৎসক হয়ে তিনি গরিবের সেবা করতে চান। তন্ময় বলেন, সারাদিনে গড়ে ১১ঘণ্টা পড়তাম। প্রতিটি বিষয় মনোযোগ দিয়ে পড়লেই সাফল্য আসবে। আমার সাফল্যের পিছনে মা, বাবা ও পরিবারের সকলের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও অবদান রয়েছে।
মেধাতালিকায় ষষ্ঠ শঙ্খদ্বীপ বেরার বাড়ি নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের টাকাপুরা গ্রামে। তিনি পটাশপুর ১ ব্লকের মংলামাড়ো মংলা অ্যাকাডেমির ছাত্র। বাবা প্রণবকুমার বেরা ওই স্কুলেরই রসায়নের শিক্ষক। মা সুপ্রভা বেরা গৃহবধূ। ৪৯০নম্বর পাওয়া শঙ্খদ্বীপ অঙ্কে ১০০, রসায়নে ৯৮, পদার্থবিদ্যায় ৯৬, বায়োলজিতে ১০০ ও ইংরেজিতে ৯৬নম্বর পেয়েছেন। শঙ্খদ্বীপ আগামীদিনে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে চান। এই বছর প্রস্তুতি নিয়ে আগামী বছর আইআইটির প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসবেন তিনি। তাই কলকাতার একটি কোচিং সেন্টারে ইতিমধ্যেই ভর্তি হয়েছেন। শঙ্খদ্বীপ বলেন, আমি এই বছর প্রস্তুতি নেব। কঠোর পরিশ্রম করে লক্ষ্যে পৌঁছানোই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য।
তমলুকের টাউনস্কুল পাড়ার বাসিন্দা তথা রাজকুমারী সান্ত্বনাময়ী গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী সৃজিতা দাস এবার ৪৮৯নম্বর পেয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছেন। বাবা নবকুমার দাস শ্রীরামপুর এগ্রিকালচার হাইস্কুলের বায়োলজির শিক্ষক ও মা দীপিকা সামন্তদাস চণ্ডীপুর উড়উড়ি জগন্নাথ স্মৃতি বালিকা বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষিকা। সৃজিতা বাংলায় ১০০, ইংরেজিতে ৯৫, রসায়নে ৯৮, অঙ্কে ৯৭ ও বায়োলজিতে ৯৯নম্বর পেয়েছে। কৃষি বিজ্ঞানী হতে চাওয়া এই কৃতী জানান, ভারতবর্ষ কৃষিপ্রধান দেশ। দেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে বদল আনার লক্ষ্যে আমি কৃষিবিজ্ঞানী হতে চাই। তিনি বলেন, সারাদিনে ১২ঘণ্টারও বেশি পড়তাম।
চণ্ডীপুরের হাঁসচড়া মৃত্যুঞ্জয় ধনঞ্জয় হাইস্কুলের ছাত্রী সূর্যতপা সাঁতরা ৪৮৭ নম্বর পেয়ে নবম হয়েছেন। হাঁসচড়া এলাকার বাসিন্দা এই কৃতীর বাবা স্বপন সাঁতরা ব্যবসায়ী ও মা সুদক্ষিণা গায়েন আশাকর্মী। সূর্যতপা অঙ্কে ১০০, পদার্থবিদ্যায় ৯৪, রসায়নে ৯৯, বাংলায় ৯৯ ও ইংরেজিতে ৯৫ নম্বর পেয়েছেন। আগামীদিনে চিকিৎসক হতে চাওয়া সূর্যতপা পড়াশুনার পাশাপাশি গান ও নাচে পারদর্শী। সূর্যতপা বলেন, আমি ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।
কোলাঘাটের মেচেদা পুরাতন বাজারের বাসিন্দা তথা গোপালগঞ্জ হাইস্কুলের ছাত্রী দিশিকা মান্না ৪৮৭নম্বর পেয়ে নবম স্থানে রয়েছেন। তিনি বাংলায় ৯৫, রসায়নে ১০০, পদার্থবিদ্যায় ৯৭, বায়োলজিতে ৯৬ ও অঙ্কে ৯৯ পেয়েছেন। তাঁর বাবা ছন্দক মান্না রেলকর্মী ও মা বাসন্তী মাইতি গৃহবধূ। এপিজে আব্দুল কালামকে আদর্শ মানা দিশিকা ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চান। দিশিকা বলেন, কঠোর পরিশ্রম ও অনুশীলন করলে ভালো ফলাফল হবেই।
তমলুক শহরের রত্নালি এলাকার বাসিন্দা তথা তমলুক হাইস্কুলের ছাত্রী অর্পিতা মৃধা ৪৮৬নম্বর পেয়ে দশম স্থানে রয়েছেন। তাঁর বাবা প্রশান্ত মৃধা ওই স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক ও মা অসীমা মৃধা গৃহবধূ। কলা বিভাগের এই ছাত্রী ইংরেজিতে ৯৯, ভূগোলে ৯৭, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯৭, কম্পিউটারে ৯৩ ও ইতিহাসে ৯৬নম্বর পেয়েছেন। আগামীদিনে ইতিহাস নিয়ে পড়ে তিনি অধ্যাপিকা হতে চান।
এছাড়া কাঁথি হাইস্কুলের ছাত্র শুভ্রশঙ্কর দত্ত ৪৮৯নম্বর পেয়ে সপ্তম স্থানে, কাঁথি মডেল ইনস্টিটিউশনের ছাত্র শুভম মাইতি ৪৮৮নম্বর পেয়ে অষ্টম স্থানে ও অনুপম পাল ৪৮৬ নম্বর পেয়ে দশম স্থানে ও এগরা ঝাঁটুলাল হাইস্কুলের ছাত্র রাতুল সামন্ত ৪৮৮নম্বর পেয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছেন।