উচ্চশিক্ষায় নামী স্বদেশি/ বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। স্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে চিন্তা। কর্মে অগ্রগতি। ... বিশদ
ফলে আলিপুরদুয়ারে বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা জিতলেও দলের সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী জন বারলার বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের লিড অস্বস্তিতে রাখবে গেরুয়া শিবিরকে, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, উনিশের ভোটে বারলার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নাগরাকাটায় বিজেপির ১৪ হাজার ৪০২ ভোটে লিড ছিল।
আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র। এর মধ্যে নাগরাকাটা বাদে বাকি ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্র আলিপুরদুয়ার, ফালাকাটা, মাদারিহাট, কালচিনি, কুমারগ্রাম ও তুফানগঞ্জে এবার লিড পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু একমাত্র বারলার নাগরাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রে লিড পেয়েছে তৃণমূল।
এবার টিকিট না পেয়ে বারলা দলীয় প্রার্থী মনোজ টিগ্গার বিরুদ্ধ প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। মনোজ টিগ্গার সম্পত্তি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। শুধু তাই নয়, টিকিট না পাওয়ায় বারলা এবার ভোটে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। দলের চা শ্রমিক সংগঠন বিটিডব্লুইউয়ের নিয়ন্ত্রণও বারলার হাতে। নাগরকাটায় বিটিডব্লুইউও এবার ভোটে নিষ্ক্রিয় ছিল। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, বারলা নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে দলের বিরুদ্ধে পিছন থেকে ছুরি মারাতেই কি নাগরাকাটায় শাসকদল তৃণমূল লিড পেয়েছে? যদিও এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও জন বারলা ফোন রিসিভ করেননি। মেসেজেরও জবাব দেননি। এ নিয়ে বিটিডব্লুইউ নেতৃত্বেরও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলে নি। কেন দলের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র নাগরাকাটায় দল এবার পিছিয়ে পড়ল? এই প্রশ্নে বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা অবশ্য বলেন, নাগরাকাটায় কেন আমরা পিছিয়ে গেলাম দলীয় সাংগঠনিক বৈঠকে এ নিয়ে অবশ্যই বিশ্লেষণ করা হবে। এখনই এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তবে বিজেপি নেতৃত্ব কিছু না বললেও রাজনৈতিক মহলের ব্যখ্যা, বারলা অন্তর্ঘাত করাতেই নাগরকাটায় বিপুল লিড পেয়েছে তৃণমূল।