উচ্চশিক্ষায় নামী স্বদেশি/ বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। স্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে চিন্তা। কর্মে অগ্রগতি। ... বিশদ
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় ইউসুফের নামপ্রকাশের পর কিছুটা চমকে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহল। রাজনীতির ময়দানে প্রথমবার নেমেই ইউসুফ মুখোমুখি হন পোড় খাওয়া রাজনীতিক অধীরবাবুর। জমজমাট লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্যই। গণনা শেষে দেখা গেল, ইউসুফের প্রাপ্ত ভোট দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ৫৮৬। অধীরবাবুর প্রাপ্ত ভোট ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ৫২৩ এবং বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহার প্রাপ্ত ভোট ৩ লক্ষ ৭১ হাজার ৩৭১। ইউসুফ যেন জয় করতেই এসেছিলেন। প্রথম থেকেই প্রত্যয়ী ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী।
ইউসুফ বলেন, বহরমপুর, আমি তোমাকে ভালোবাসি। এদিন বারবার নিজের জীবনের কঠিন সময় পেরিয়ে জয়ের কথা তুলে ধরলেন তিনি। ইউসুফ বলেন, দেশের জার্সিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ডেবিউ করার সময়টাও কঠিন ছিল। সবসময় কঠিন মুহূর্তকে চ্যালেঞ্জ করে জয় পেয়েছি। রাজনীতির ডেবিউতেও তাই হল। প্রত্যেকটি জয়ের সময় পরিবার-পরিজনদের আমি পাশে পেয়েছি। এদিনও পরিবারের সকলে আমার পাশে আছে। মার্জিন বাড়ার পরপরই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁরা আমাকে এই সুযোগ করে দিয়েছেন। তারজন্য আমি কৃতজ্ঞ। মানুষ যেভাবে আমাকে আশীর্বাদ ও দোয়া করেছেন, আমি কাজের মাধ্যমে তা পূরণ করব।
তিনি বলেন, বহরমপুর আমার দ্বিতীয় বাড়ি। গুজরাতে যেমন আমি থাকব, তেমন বহরমপুরে এসে মানুষের কাজ করব। পাশাপাশি দিল্লিতে গিয়ে সংসদে মানুষের হয়ে আওয়াজ তুলব। এই দলের সমস্ত নেতৃত্ব ও কর্মীদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। অধীর চৌধুরী প্রসঙ্গে ইউসুফ বলেন, উনি অত্যন্ত দক্ষ একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এতদিন যে লড়াইটা করেছেন সেটাকে আমি সাধুবাদ জানাই।
পরাজয় স্বীকার করে নিয়ে এদিন অধীরবাবু বলেন, নির্বাচনে কেউ হারে এবং জেতে। আমি হেরেছি। আমি তৃণমূল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছি। ইউসুফ পাঠান যিনি এই মুহূর্তের বহরমপুরের সাংসদ, আগামী দিনে যাতে তাঁর চলার পথ সুগম হয়, সেই কামনা করি।
বিজেপি প্রার্থী বলেন, যে সংখ্যক মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছেন এবং ভরসা করেছেন তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তবে ইউসুফ পাঠানের উপর মানুষের বেশি ভরসা আছে। তিনি কতটা মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেন সেটাও দেখার আছে।