উচ্চশিক্ষায় নামী স্বদেশি/ বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। স্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে চিন্তা। কর্মে অগ্রগতি। ... বিশদ
ভৌগোলিক অবস্থানের দিক দিয়ে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র বৈচিত্রময়। পাহাড় ও সমতল নিয়ে এই কেন্দ্র। এখানে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তিনটিই পাহাড়ে। বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। দ্বিতীয়বারের জন্য লোকসভা ভোটে জিতলেও বিস্তা পাহাড়ে ধাক্কা খেলেন। ঊনিশের নির্বাচনের নিরিখে এবার তাঁর ভোটব্যাঙ্কে ধস নেমেছে।
গতবার লোকসভা ভোটে কালিম্পং বিধানসভা কেন্দ্রে বিস্তার ভোট ছিল ৯৬ হাজার ৮৭৭টি। যা ৬৭ শতাংশ। লিড ছিল ৬২ হাজার ৫৭৫। এবার কালিম্পংয়ে বিস্তার প্রাপ্ত ভোট ৭৭ হাজার ৭৪৫, যা ৫৩.২৪ শতাংশ। গতবারের তুলনায় লিড কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৬৩২। গতবার দার্জিলিংয়ে বিস্তার ভোট ছিল ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৪২৮টি, যা ৭২.৭৯ শতাংশ। লিড ছিল ৮৫ হাজার ৮২৪। এবার এখানে তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৮৭ হাজার ৬২, যা ৫৫ শতাংশ। গতবারের তুলনায় লিড কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৩২৬।
কার্শিয়াং বিধানসভা কেন্দ্রের অবস্থাও একই। গতবার এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর ভোট ছিল ১ লক্ষ ২২ হাজার ৩৯৩, যা ৭২.১২ শতাংশ। লিড ছিল ৮৭ হাজার ৫৯৭। এবার এখানে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৯৩ হাজার ৪১৯, যা ৫৭.১৭ শতাংশ। এখানে লিডের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ৩৫১। অর্থাৎ উনিশের নির্বাচনে পাহাড়ের সংশ্লিষ্ট তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিস্তার লিডের পরিমাণ ছিল ২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯৯৬। যা এবার একধাক্কায় কমে দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৩০৯ ভোটে। এমন প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের শরিক অনীত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার ভোট বেড়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান ও ১১ জনজাতিকে এসটি স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বিজেপি পূরণ করতে পারেনি। এ নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ পাহাড়বাসী। ভোটের ফলে সেই ক্ষোভেরই প্রতিফলন হয়েছে। বিজিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র শক্তিপ্রসাদ শর্মা বলেন, নতুন দল হিসেবে পাহাড়ে বিজেপিকে জোর ধাক্কা দিয়েছি। ওরা একাধিক দলের সঙ্গে জোট করেও নিজেদের ভোট ধরে রাখতে পারেনি। রাজু বিস্তা অবশ্য বলেন, ‘ভোটে জিতব বলেছিলাম, জিতেছি। এজন্য পাহাড়বাসীকে অভিনন্দন জানাই।’