উচ্চশিক্ষায় নামী স্বদেশি/ বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। স্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে চিন্তা। কর্মে অগ্রগতি। ... বিশদ
কোনও প্রার্থীর উপর বাজি ধরে তিনি জিতলে ২০০ টাকায় মিলবে ৪০০ টাকা। বাজিতে টাকার অঙ্ক যাই হোক অনুপাত একই থাকবে। কীভাবে চলছে এই বেটিং? চক্রে জড়িতদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তাদের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মেসেজ করে কোন প্রার্থীর উপর বাজিতে কত টাকায়, ঠিক কত মিলবে তার তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই অনুযায়ী অনেকে বাজিতে টাকাও লাগাচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে এই চক্র আরও সক্রিয় হবে বলেই জানা গিয়েছে।
জেলার পাশাপাশি রাজ্যের ৪২টি আসনের প্রার্থীদের নিয়েও বেটিং চক্র সক্রিয়। প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রার্থীদের নামের তালিকা ও বাজির দর পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তালিকার পাশাপাশি প্রার্থীদের উপর কত টাকা বাজি ধরলে জয়লাভের পর কত টাকা মিলবে তাও জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। টাকা অনলাইনের মাধ্যমে ও নগদে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। বেটিংয়ের পাশাপাশি এলাকায় এলাকায় কোন প্রার্থী জয়লাভ করবেন, তা নিয়েও বাজি ধরা শুরু হয়েছে। কেউ টাকা দিয়ে আবার কেউ মাংস দিয়েও বাজি লড়ছে।
বলা বাহুল্য, এই মুহূর্তে বালুরঘাট লোকসভা আসনের দিকেই তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতি। এই আসনে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে বলেই জল্পনা। এই আসনে কে জয়লাভ করবেন তা নিয়ে আগে থেকে নিশ্চিত করে কেউ কিছুই বলতে পারছেন না। বিজেপি ও তৃণমূল দুই শিবিরের নেতা-কর্মীরাই নিজেদের মতো করে জয়ের অঙ্ক কষতে শুরু করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি সাধারণ মানুষও আজ গণনার দিকে তাকিয়ে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, বাজি যে কেউ ধরতেই পারেন। তবে টাকা দিয়ে বাজি ধরা ঠিক নয়। বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। প্রার্থীদের নিয়ে এমন বেটিং চক্র চালানো মোটেই ঠিক নয়।