সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: পণের দাবিতে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর থানা এলাকার এক বধূকে খুনের অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার হলেও বাকি অভিযুক্তরা এখনও অধরা। অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে মৃতার  পরিবারের সদস্যরা হরিরামপুর থানার পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁরা খারাপ ব্যবহার করেন। সোমবার দুপুরে বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ৫১২ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মৃতার পরিজনরা। স্থানীয় গ্রামবাসীও সেই অবরোধে শামিল হন। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন তাঁরাও। যদিও বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হরিরামপুর থানার আইসি অভিষেক তালুকদার। বলেছেন, থানায় অভিযোগ হয়েছে। একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। অফিসাররা তদন্ত শুরু করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 
এদিন বিক্ষোভের জেরে গাজোল-বালুরঘাটগামী রাস্তায় ২০ মাইলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। সপ্তাহের প্রথম দিনে কাজে বেরিয়ে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। পরে গাজোল থানার পুলিস আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দু’বছর আগে গাজোলের মেয়ে উম্মে কুলসুমের (২৩) সঙ্গে হরিরামপুরের বাসিন্দা নুরুল হাসানের (৩০) বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের সময় পণ হিসেবে ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নুরুলের পরিবারকে দেওয়া হয়। ওই সময় শুধু দু’ভরি সোনা দিতে পারেনি বধূর পরিবার। বিয়ের পর নিয়ে সংসারে অশান্তি শুরু। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পণের দাবিতে ওই বধূর উপর অত্যাচার চালাত। পণের দাবিতে গত ৩১ মে বধূকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ মৃতার পরিবারের। 
মৃতার আত্মীয় মমিনুর ইসলাম বলেন, পণের দাবিতে বোনকে খুন করা হয়েছে। পরদিন মৃতার স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে হরিরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। মৃতার স্বামী থানায়  আত্মসমর্পণ করেছেন। কিন্তু বাকি অভিযুক্তদের পুলিস ধরছে না বলে অভিযোগ। যদিও পুলিসের দাবি, তদন্ত চলছে।