গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
সাঁওতালি ভাষা নিয়ে পড়াশোনা চালুর দাবি ছিলই। সেই মতো ২০২৩ সালে এই কলেজে সাঁওতালি ভাষা পড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ৩০টি আসন রাখা হয়। কিন্তু এই ভাষা পড়ানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগ না করেই ১৯ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি করে নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের আশ্বাস দেওয়া হলেও তা এখনও অধরাই। আর এতেই সমস্যায় পড়ুয়ারা। কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক সুজন ঘোষ বলেন, বিষয়টি কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সাঁওতালি ভাষার সিলেবাস দিয়ে দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই শিক্ষক চলে আসবেন। ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যার সমাধান হবে।
সাঁওতালি ভাষা নিয়ে ভর্তি হওয়া এক পড়ুয়ার কথায়, রেজিস্ট্রেশনের সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন, শিক্ষকের অভাব রয়েছে। তাই প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা হবে না। অবশ্য, দ্বিতীয় সেমেস্টারের আগেই শিক্ষক চলে আসবেন, পরীক্ষাও হবে বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। অথচ দ্বিতীয় সেমেস্টারের সময় এগিয়ে এলেও পঠনপাঠন শুরু হয়নি। কীভাবে পরীক্ষা হবে? সিলেবাসই বা কী? কিছুই বুঝতে পারছি না। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগের জন্য কলেজে লিখিতভাবে আবেদন জানানো হয়েছে। আমরা উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছি। দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষাও না দিতে পারলে বড় আন্দোলন হবে।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বামনগোলা ব্লক সভাপতি টোটন দাসের কথায়, বিষয়টি নিয়ে আমরা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে কথা বলেছিলাম। সেবার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। আমরা চাই, দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করা হোক। নিজস্ব চিত্র।