কর্মস্থলে জটিল কর্মে সাফল্য ও সুনাম। অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় বাড়বে। ... বিশদ
বেশ কিছুদিন ধরে শহরে জল সঙ্কট চলছে। গজলডোবায় তিস্তা ব্যারেজের গাইড বাঁধ সংস্কার কাজ শুরুর পর সেই সমস্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বুধবার গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন মেয়র। পরে তিনি বলেন, শহরে চাহিদার তুলনায় পানীয় জলের জোগান অপ্রতুল। এই অবস্থায় বাঁধের কাজের জন্য ক্যানেলে জল ছাড়া বন্ধ রেখেছে তিস্তা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। এতে এখনও শহরে পানীয় জল নিয়ে হাহাকার দেখা দেয়নি। তবে ক্যানেলে ও রিজার্ভারে মজুত জলের পরিমাণ কমছে। এই অবস্থায় সামান্য বৃষ্টি হলে ব্যাপক উপকার হবে। ক্যানেল জলে ভরবে। ভূগর্ভস্থ জলের স্তরও কিছুটা পূরণ হবে।
একইসঙ্গে মেয়র বিকল্প ইনটেক ওয়েল ও পন্ডা তৈরির কাজ পর্যালোচনা করেন। তিনি বলেন, বিকল্প ইনটেক ওয়েল ও পন্ড বিগত পুরবোর্ড করেনি। তা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলার কাজ সহজ হতো। তবে আমরা বিকল্প ইনটেক ওয়েল ও পন্ড তৈরি করছি। ৭ জুন এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
এদিকে, শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাতেও পানীয় জলের সঙ্কট ক্রমশ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই মাটিগাড়ার তারাবাড়ি, পূর্ব রঙ্গিয়া, বাতালিগুড়ি, চৈতন্যপুর, কাওয়াখালি, পরিবহণনগর, খাপরাইল, রাজকৌরি প্রভৃতি এলাকায় জলের সঙ্কট মারাত্মক। এখানে বহু বাড়ির কুয়োর জলস্তর নেমে গিয়েছে। পাম্প চালিয়েও বাড়ির রিজার্ভারে জল উঠছে না। আবার কিছু কিছু বাড়ির কুয়ো শুকিয়ে গিয়েছে। বাড়ির টিউবওয়েলও অকেজো। তাছাড়া এখনও বহু বাড়িতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের জলের লাইন পৌঁছয়নি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনেক কলেও জল আসছে না বলে অভিযোগ।
গ্রামবাসীরা এ নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, পানীয় জলের সঙ্কট তৈরি হলেও প্রশাসনের কর্তাদের দেখা নেই। নির্বাচনী আচরণ বিধির অজুহাত দিয়ে অনেক আধিকারিক বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন।
মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিজিৎ পাল বলেন, বিভিন্ন গ্রাম থেকে পানীয় জলের সঙ্কটের অভিযোগ মিলেছে। তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে ঠিকাদার সংস্থার গাফিলতিতে বহু জায়গায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পানীয় জল প্রকল্পের কাজ এখনও শেষ হয়নি। বিষয়টি প্রশাসনের কাছে জানাব। মাটিগাড়ার বিডিও বিশ্বজিৎ দাস বলেন, গ্রামবাসীদের কাছ থেকে এখনও জল সমস্যার অভিযোগ পাইনি। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।
মাটিগাড়ার মতো নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া ও খড়িবাড়ি ব্লকের বহু গ্রামের অবস্থাও একই। পিএইচই’র ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশ বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধির জন্য এখন নতুন করে কোনও প্রকল্পের কাজে হাত দিতে পারছি না। নির্মীয়মাণ প্রকল্পের কাজ চলছে। নিয়মিত ভূগর্ভস্থ জল তুলে পরিশোধিত করে বিলি করা হচ্ছে।