বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন, রায়গঞ্জ ইউনির্ভাসিটি কলেজের আমলে যে জল সরবরাহ ব্যবস্থা ছিল তা দিয়ে বর্তমান রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের জলের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছিল না। সেকারণেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে দু’টি ট্যাঙ্ক তৈরি করা হবে। একাজের জন্য জায়গাও পরির্দশনও হয়ে গিয়েছে। প্রায় চার লক্ষ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। এরপর পাইপ লাইন বসানোর কাজ বিশ্ববিদ্যালয় করবে। নির্বাচন বিধি উঠে গেলেই এই কাজ শুরু হবে।
রায়গঞ্জ ইউনির্ভাসিটি কলেজে অতীতে যত ছাত্রছাত্রী ছিল,তার তুলনায় রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুগুণ বেশি ছাত্রছাত্রী এখন পড়াশুনা করেন। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর সংখ্যাও আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিকাঠামো গত উন্নয়নও লাগাতার চলছে। ফলে বিভিন্ন বিভাগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিনের পাশাপাশি সান্ধ্যকালীন ক্লাসও চলে। এসমস্ত ক্লাস চলায় স্বাভাবিক ভাবেই পানীয় জল যেমন দরকার হয় তেমনি শৌচাগারগুলিতেও জলের দরকার হয়। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত সেই সব জায়গায় পর্যাপ্ত জলের সরবরাহ ছিল না। প্রতিটি বিভাগে আলাদা আলাদা করে জলের মেশিন বসিয়ে কাজ চালানো হচ্ছিল। যা দিয়ে সমস্ত প্রয়োজন যেমন মিটছিল না সেরকম স্থায়ী কোনও পরিকাঠামোও গড়ে উঠছিল না।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও বয়েজ হস্টেলের পিছনে দু’টি জলের ট্যাঙ্ক বসানো হবে। লোহার স্ট্রাকচার তৈরি করে তার উপরে জলের ট্যাঙ্ক বসানো হবে। এই কাজটিই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের শিলিগুড়ি বিভাগ করবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে। এজন্য পরির্দশনের কাজও শেষ হয়েছে। দপ্তরটি ওই কাজ করে দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহের কাজ করবে। এর ফলে আগামী দিনে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে জলের আর কোনও সমস্যা থাকবে না বলেই দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।