গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
বৈঠকে ছিলেন বি এল সন্তোষ, অশ্বিনী বৈষ্ণবরাও। অন্যতম আলোচ্য ছিল, ভোটের হারে ধস। শহর কিংবা গ্রাম, ভোট কেন কম পড়ছে, সেটা জানার জন্য দ্বিতীয় দফার পরই বিভিন্ন রাজ্যকে বলা হয়েছিল বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাতে। বিজেপির কাছে চিন্তার কারণ হল, বিগত তিন বছর ধরে সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে বুথ স্তরের সংগঠনে। উচ্চ পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক কিংবা কৌশল নির্মাণ নয়। তুলনায় অনেক বেশি আলোচনা হয়েছিল বুথ স্তর কমিটি গঠন এবং তাদের দায়িত্ব ভাগাভাগি নিয়ে। কিন্তু বিজেপির নিজের ভোটব্যাঙ্ক যেখানে শক্তিশালী, সেই রাজ্য এবং লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে কেন ভোটাররা বুথমুখী হচ্ছেন না? দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, বিজেপির বুথ স্তরের কর্মী ও নেতারাই ভোটারদের বুথে নিয়ে আসতে ব্যর্থ হচ্ছেন। প্রতিটি ভোটপর্বেই দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের তুলনায় বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের হার কমেছে। এমনকী বৈঠক চলাকালীন বিভিন্ন রাজ্য থেকে রিপোর্ট এসেছে, ভোটদানের হার মোটেও আশানুরূপ নয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবথেকে বিস্ময়কর ভোট প্রবণতার বার্তা এসেছে মহারাষ্ট্র থেকে। এই রাজ্যে ভোট পড়েছে মাত্র ৪৯ শতাংশ। মহারাষ্ট্র নিয়ে এবার ইন্ডিয়া এবং এনডিএ—দুই শিবিরেই আশা-আশঙ্কার স্রোত প্রবল। সেখানেই ভোটের হার কম কেন?
সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দু’দফা বাকি থাকতে এদিন বিজেপির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে ভোটের ইস্যু নিয়ে! অর্থাৎ মানেটা পরিষ্কার, বিজেপির কোনও ইস্যুই এবারের নির্বাচনকে দেশব্যাপী প্রভাবিত করতে পারছে না। এই প্রথম বিজেপির কোনও স্লোগান অথবা থিম সেভাবে সাড়া জাগাতে পারছে না ভোটের ময়দানে। মোদির ‘গ্যারান্টি’ও না।