গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
সূত্রের খবর, দিনকয়েক আগেই সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ ঘটানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকেই জারি করা হয় হাই অ্যালার্ট। তার মধ্যেই চার জঙ্গি বিমানবন্দরে আসতে চলেছে বলে খবর মেলে। গুজরাত পুলিসের ডিজি বিকাশ সহায় জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল গুজরাত পুলিসের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড। সন্দেহভাজন চার জঙ্গি মহম্মদ নুসরত, মহম্মদ ফারুক, মহম্মদ নাফরান ও মহম্মদ রাসদিন বিমানবন্দরে পা রাখতেই তাদের গ্রেপ্তার করে এটিএস। জানা গিয়েছে, দেশে বড় কোনও জঙ্গি হামলা চালানোর ছক কষছিল চার জঙ্গি। সেই লক্ষ্যেই কলম্বো থেকে চেন্নাই হয়ে আমেদাবাদে আসে তারা।
জেরায় অভিযুক্তরা জানিয়েছে, আগে তারা ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত নামে শ্রীলঙ্কার একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য ছিল। পরে তারা আইএসে যোগ দেয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সন্দেহভাজন চার জঙ্গিই পাকিস্তানের আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদির নির্দেশে কাজ করত। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের নির্দেশ দিত বাগদাদি। আমেদাবাদ থেকে তাদের অন্য কোথাও যাওয়ার কথা ছিল। এখানেও তারা বাগদাদির নির্দেশের জন্যই অপেক্ষা করছিল। তার আগেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের অজ্ঞাতপরিচয় কোনও জায়াগায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ধৃতরা তামিল বাদে অন্য কোনও ভাষা না জানায় একজন দোভাষীকেও আনা হয়েছে। চার সন্দেহভাজনের থেকে মিলেছে চারটি মোবাইল ফোন। সেই ফোনের সূত্র ধরে আমেদাবাদ থেকে আইএসের পতাকা, পাকিস্তানে তৈরি তিনটি পিস্তল ও ২০টি কার্তুজ উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। নুসরতের পাসপোর্টে পাকিস্তানের বৈধ ভিসাও রয়েছে। ধৃতরা জানিয়েছে, হামলা চালানোর পর ঘটনাস্থলে আইএসের পতাকা রাখার নির্দেশ দিয়েছিল আবু। এছাড়াও সন্দেহভাজন জঙ্গিদের ফোনে আইএসের বেশ কিছু নথি ও এনক্রিপ্টেড চ্যাট রয়েছে। তাতে কী কথোপকথন হয়েছে, তা জানতে এনক্রিপশন ভাঙার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে আমেদাবাদ বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের হুমকি ই-মেল আসে। গোটা বিমানবন্দর চত্বর তল্লাশি চালানো হলেও সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। যদিও গুজরাতে ভোটের মুখে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়। বিমানবন্দর সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বাড়ানো হয় নিরাপত্তা।
এর আগে, গত আগস্ট মাসে জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদার সঙ্গে যোগ থাকার সন্দেহে রাজকোট থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে গুজরাত এটিএস। বাংলাদেশি হ্যান্ডেলারের নির্দেশে তারা জঙ্গি সংগঠনে সদস্য নিয়োগের পাশাপাশি ধর্মান্তকরণের চেষ্টা করত।