উচ্চশিক্ষার জন্য নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রচেষ্টা সফল হতে পারে। ব্যবসায় উন্নতির নতুন পথের দিশা। ... বিশদ
সোমবার মমতা নবান্নে ডেকে পাঠিয়েছিলেন দলের নেতা কুণাল ঘোষ, পরেশ পাল, স্বপন সমাদ্দার ও অতীন ঘোষকে। জানা গিয়েছে, মানিকতলা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনাও করেন। এবং একটি কোর কমিটিও গঠন করে দেন। এর পাশাপাশি মঙ্গলবার দুপুর তিনটে নাগাদ নবান্নে মানিকতলা বিধানসভার অন্তর্গত কলকাতা পুরসভার ওয়ার্ডগুলির কাউন্সিলারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা। লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে কোথায় কেমন ফল হয়েছে? সেখানে দলীয় সংগঠনের পরিস্থিতি কী? তা নিয়ে খোঁজখবর নেবেন। সেই বৈঠকেই উপ নির্বাচনে তৃণমূল কাকে প্রার্থী করবে সে প্রসঙ্গ উঠতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সোমবার নির্বাচন কমিশন প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে মানিকতলা বিধানসভার উপ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে। ফল ঘোষণা হবে ১৩ জুলাই। ভোটের দিন ঘোষণার পর স্বস্তি ফিরল মানিকতলার বাসিন্দাদের। দীর্ঘদিন বিধায়কহীন থাকার পর অবশেষে ভোট হতে চলেছে এই কেন্দ্রে। কারা বিধায়ক হওয়ার লড়াইয়ে নামছেন তা জানতে এখন প্রবল আগ্রহ স্থানীয়দের মধ্যে। উল্লেখ্য, গত দু’বছর ধরে ঝুলে রয়েছে মানিকতলার উপ নির্বাচন। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে তৃণমূল প্রার্থী সাধন পান্ডের বিরুদ্ধে ভোট প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলে মামলা করেন। ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের জয় বৈধ নয় বলে আদালতের দ্বারস্থ হন। মামলা চলাকালীন সাধন পান্ডের মৃত্যু হয়। এরপর মামলা চলতে থাকে। জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে মামলা করেন মানিকতলার বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট কল্যাণ চৌবেকে ভর্ৎসনা করেছে। আর শীর্ষ আদালতের সমালোচনার পর কলকাতা হাইকোর্টে করা নিজের ইলেকশন পিটিশন প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছেন কল্যাণ। অন্যদিকে আদালতের জট কেটে যাওয়ার পর উপ নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই খুশি এই কেন্দ্রের ভোটাররা। শ্রীপর্ণা বসু নামে মানিকতলার এক উদ্যোগপতি বলেন, ‘বিভিন্ন কাজে বিধায়কের শংসাপত্র দরকার হয়। একটা অঞ্চল গত দু’ছর ধরে বিধায়ক শূন্য। অবশেষে ভোট ঘোষণা হয়েছে। আমরা আশ্বস্ত হয়েছি।’ নন্দকিশোর আগরওয়াল নামে এক বাসিন্দার কথায়, ‘ভোট ঘোষণা হওয়াতে অনেক সমস্যা মিটল। নতুন বিধায়ক পেয়ে এলাকাবাসী উপকৃত হবেন।’ এর পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদের ব্যাখ্যা, দীর্ঘদিন ধরে বিধায়ক না থাকায় তহবিলের টাকা খরচ হচ্ছিল না। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সেই টাকা পেলে আগামী দিনে কাজে গতি আসবে। আর এই বিধানসভার অন্তর্গত কাউন্সিলাররা জানাচ্ছেন, অনেক কাজ পড়ে রয়েছে। নতুন বিধায়ক হলে এমএলএ ফান্ডের টাকায় সেই কাজগুলি করতে সুবিধা হবে।