গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
আরামবাগে এর আগে ৮ মে মুখ্যমন্ত্রী জনসভা করে গিয়েছিলেন। সেই জনসভা থেকেই খানাকুল ও পুরশুড়ায় সমস্যা থাকার কথা জানিয়েছিলেন। সাংগঠনিক জেলার নেতাদের নাম ধরে এলাকা দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সমস্যা থাকলে তা মেটানোর কথাও বলেন।
একুশের বিধানসভা ভোটে মহকুমার চারটি বিধানসভা তৃণমূলের হাতছাড়া হয়। সাধারণ মানুষের একাংশের সমর্থন বিজেপির দিকে গিয়েছিল। তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পরাজয়ের কারণ অজানা নয়। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাকর্মীদের সামনে সারিতে আনা হয়েছিল। ব্লক সভাপতি থেকে শুরু করে দলের বিভিন্ন পদে রদবদলও করা হয়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে রাজ্যের প্রথম সারির নেতারা আরামবাগে এসে একের পর এক কর্মী সম্মেলন করেন। মানুষের অভাব-অভিযোগ, ক্ষোভের কথা শুনতে দলীয় কর্মীদের বাড়ি বাড়ি জনসংযোগে পাঠানো হয়। পঞ্চায়েত ভোটে যার সুফল ঘরে তোলে শাসকদল।
মুখ্যমন্ত্রী জনসভা থেকে এদিন সরাসরি বলন, তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ ছোটখাট দু’টো ভুল করলে থাপ্পড় দেবেন। এই অধিকার আপনাদের আছে। কিন্তু সিপিএম যে বড় ধরনের গুন্ডা, বিজেপি যে বড় ধরনের গুন্ডা, ওদের হাত থেকে আর বাঁচতে পারবেন না। আমি চাই মানুষের স্বার্থে, মানুষের কাজ করতে। আমি কারও স্বার্থ বুঝতে চাই না। আমি একটাই স্বার্থ বুঝি। সেটা হল মানুষের স্বার্থ।
যদিও তৃণমূল নেত্রীর এই বক্তব্যকে আইওয়াশ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইওয়াশ করার জন্য এই ধরনের বক্তৃতা দিচ্ছেন। শাসকদলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহ রায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের অভিভাবক। তিনি কোনওদিন কোনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। সেটা দলের বাইরে হোক বা ভিতরে। মানুষের স্বার্থে তিনি আজীবন লড়াই করছেন। দলের সমস্ত নেতা-কর্মী তাঁর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলছে। আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগ বলেন, প্রথমদিন থেকে দলের শৃঙ্খলা মেনে কাজ করেছি। ভালো কাজ করলে প্রশংসা করেন। আবার ভুল করলে শাসন করেন। দিদির নির্দেশ মেনে আমরা একসঙ্গে লড়াই করছি। গোঘাটের ভিকদাস এলাকার এক তৃণমূল কর্মী বলেন, দলের কেউ ভুল করলে আমাদের নেত্রী প্রকাশ্যে শাসন করতে পারেন। কিন্তু, বিরোধী দলের নেতৃত্বকে কখনও নিজের দলের নেতা-কর্মীদের এভাবে শাসন করতে দেখিনি। এটাই অন্য দলগুলির সঙ্গে তৃণমূলের পার্থক্য।