গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
শিক্ষকদের একটা বড় অংশ আবার মনে করছেন, এভাবে শিক্ষক নিয়োগ অনিবার্য হয়ে পড়েছে। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। উচ্চ প্রাথমিকে তো একেবারেই হয়নি। তবে চাপ বেশি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে। এই পর্যায়ের শিক্ষকের অভাব সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে, এই শিক্ষাবর্ষ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সেমেস্টার পদ্ধতি চালু হওয়ায় শিক্ষকও বেশি প্রয়োজন হবে। এই অবস্থার কথা মাথায় রেখে সংসদের কমিটি বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, স্কুলগুলিকে অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে তার জন্য বেশ কিছু শর্তও আরোপ করা হয়েছিল। অভিযোগ, অনেক স্কুলই কোনও নিয়মের তোয়াক্কা না করে শিক্ষক নিয়োগ করছিল। শিক্ষাদপ্তর আগেই পার্শ্বশিক্ষকদের বেতনবৃদ্ধি সহ অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা বাড়িয়েছে। তবে পার্শ্বশিক্ষক হিসেবে কোনও শিক্ষককে আর নিয়োগ করা যায় না। কারণ, এ ধরনের শিক্ষকরা সর্বশিক্ষা অভিযানের অধীনে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এঁদের সরকারি স্বীকৃতি রয়েছে। তাঁদের দায়ও সরকারের। শিক্ষক নিয়োগের সময় তাঁরা কোটার সুবিধাও পেয়ে থাকেন। তবে অস্থায়ী শিক্ষকদের বিষয়ে সরকারের কোনও দায়িত্ব নেই। ১১ মাসের চুক্তিতে সাধারণত তাঁদের নিয়োগ করা হয়। কোনও ক্ষেত্রে আরও কম। শিক্ষকরা অবশ্য বলছেন, ‘অযোগ্য’ শিক্ষক নিয়ে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। যদি বিরূপ রায় হয়, তাহলে অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করেই স্কুল চালাতে হবে সরকারকে। তাই এই ধরনের শিক্ষক নিয়োগের জন্য আগাম একটি বিধি প্রণয়নের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।