পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
উল্টোদিকে সিবিআইও পাল্টা প্রস্তুতি সেরে রাখছে। বুধবার দিল্লিতে সকালে বৈঠকে বসেন তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা। কী কী বিষয়ে রাজীব কুমারের সঙ্গে তাঁরা কথা বলবেন, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা চলে। যেখানে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, আইনজীবী ও ব্যাঙ্কিং বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। একাধিক বিষয়ে তাঁরা কাটাছেঁড়া করেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারও একটি প্রশ্নমালা তৈরি করেছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজীব কুমারের কাছে নোটিস পাঠানো হবে বলে সিবিআই সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে। নগরপাল ৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে হাজির হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে যে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন, তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের সম্মতি রয়েছে। তা থেকেই ধারণা করা হচ্ছে, পুলিস কমিশনারের প্রস্তাব তাঁরা মেনে নেওয়ার পথে। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে ডিরেক্টর ঋষিকুমার শুক্লার উপর। তদন্তকারী টিমের সদস্যরা মঙ্গলবারই কলকাতায় ফিরে এসেছেন। সূত্রের খবর, আজ বৃহস্পতিবার বা আগামীকাল শুক্রবার তাঁদের শিলংয়ে যাওয়ার কথা।
রাজ্যের পুলিস কর্তাদের ধারণা, রাজীব কুমারের সঙ্গে সিবিআইয়ের আলোচনাপর্বে খুব স্বাভাবিকভাবেই বাজেয়াপ্ত হওয়া নথির প্রসঙ্গ উঠে আসবে। জানতে চাওয়া হবে সেগুলি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তদন্তকারী অফিসাররা কখনও নথি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে তাঁকে জানিয়েছিলেন কি না। এমনকী সিবিআই নাকি এও বলার চেষ্টা করতে পারে যে, অনেক থানাই চিটফান্ড সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে চায়নি। যে কারণে এফআইআর হয়নি। এই ধরনের বিষয়কে ভিত্তি করেই প্রশ্নমালা তৈরি করা হচ্ছে। এই সব প্রশ্নের উত্তর কীভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন পুলিস ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। কেন্দ্র যেভাবে রাজ্য সরকারকে হেনস্তা করতে চাইছে, তার উপযুক্ত জবাব দিতেই কোমর বেঁধে নামছেন প্রশাসনের কর্তারা। সেইমতো তৈরি হচ্ছেন রাজীব কুমার নিজেও। এক পুলিস কর্তার কথায়, পুলিস কমিশনার জবাব দেওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। একধাপ এগিয়ে তাঁর বক্তব্য, নগরপালের উত্তর শোনার পর সিবিআইয়ের অভিযোগের আর কিছু থাকবে না।
এদিকে সিবিআইয়ের বক্তব্য, সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির ৩৫৭টি ফাইল তারা হাতে পেয়েছে। কিন্তু এখনও ১০৯টি ফাইল পাওয়া যায়নি। সেগুলি কোথায় গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। এর থেকেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। যদিও রাজ্যের বক্তব্য, সারদার কোনও ফাইলই আর তাদের কাছে নেই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর তারা সব হস্তান্তর করে দিয়েছে সিবিআইকে। এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যদি আরও ফাইলের কথা বলে, তাহলে তাদের কিছু করার নেই। নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়েই এসব বলছে তারা।
২০১০ সালের জুন মাসে শাসকদলের এক এমপি সারদা সহ অন্যান্য চিটফান্ড সংস্থা নিয়ে যে চিঠি দিয়েছিলেন তদানীন্তন বাম সরকারের কাছে, তার নোট সিটে কী লেখা হয়েছিল এবং কোনও তদন্ত হয়েছিল কি না, তার ফাইল চাইছে সিবিআই। ওই ফাইল চেয়ে ১৩ বার চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও তাদের দাবি।