পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
গত বছরের মতো এবারও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন থেকেই জমে উঠেছে হাওড়া শহরের ক্রিসমাস কার্নিভাল। শৈলেন মান্না সরণি সাজিয়ে তোলা হয়েছে আলোকমালায়। ষষ্ঠী নারায়ণ ইকোপার্কে শুরু হওয়া হাওড়া ক্রিসমাস কার্নিভালে মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই রীতিমতো গিজগিজ করছিল ভিড়। পাশাপাশি ডবসন রোড, আন্দুল রোড, হাওড়া স্টেশন ও হাওড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার চার্চগুলিও ঝলমল করছে আলোয়। শহরের বিভিন্ন শপিং মলে বহু পরিবারকে ছুটির মেজাজে সন্ধ্যা কাটাতে দেখা গিয়েছে এদিন। তবে উৎসবের ভিড়ে পুলিসি নজরদারিও রয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিসের এক কর্তা বলেন, ‘কার্নিভাল এলাকা, হাওড়া ময়দান, বিভিন্ন চার্চের আশপাশে বাড়তি পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মদ্যপ বাইকারদের রুখতে প্রতিটি থানাকে বাড়তি টহলদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
বড়দিনকে ঘিরে অন্য মাত্রা পায় হুগলির ব্যান্ডেল, শ্রীরামপুর, চন্দননগর। এক সময়ের পর্তুগিজ ও ডাচ কলোনিতে যেন এখনও লেগে রয়েছে পুরনো আভিজাত্য। ইতিমধ্যেই আলো ঝলমলে হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী ব্যান্ডেল চার্চ। আশপাশে বসেছে বহু অস্থায়ী দোকান। এদিন ব্যান্ডেল চার্চে যান সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে পাদ্রীদের সঙ্গে প্রার্থনা করেন তিনিও। প্রার্থনাকক্ষে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান রচনা। শিশুদের কেক বিতরণও করেন। সাংসদ বলেন, ‘বড়দিনে এখানে এসে অন্যরকম উপলব্ধি হল। খুদেদের সঙ্গে বড়দিনের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পেলাম।’ চার্চের পিছনে গঙ্গার পাড়ে বেশ কিছু পিকনিক পার্টিকে ভিড় জমাতে দেখা গেল। শুধু গঙ্গার পাড়েই নয়, দিল্লি রোড লাগোয়া জেলার বিভিন্ন আমবাগানকে পিকনিকের জন্য সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। তবে পিকনিক স্পটগুলিতে ডিজে সাউন্ড বক্স ও মদ্যপান বন্ধ করতে বাগান মালিকদের সতর্ক করেছে পুলিস। জেলার গ্রামীণ এলাকার ধনেখালি, সিঙ্গুর, চণ্ডীতলায় পিকনিক শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে হুগলিবাসীর কাছে এবারের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে শ্রীরামপুরের হেরিটেজ উৎসব। রাজ্য পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে শ্রীরামপুর পুরসভা সেন্ট ওলাভ গির্জাকে সামনে রেখে শুরু করেছে এই উৎসব। উৎসবের অঙ্গ হিসেবে গঙ্গা সাফারির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এদিন সেন্ট ওলাভ গির্জায় বিশেষ ক্যারোলের আয়োজন করা হয়।